কলকাতাঃ অবশেষে সকল অপেক্ষার অবসান ঘটলো। অবশেষে দেশের প্রথম বন্দে ভারত মেট্রোর চাকা গড়ালো। তবে এখনো অবধি সাধারণ মানুষ এতে উঠতে পারবেন না, এখন অবধি শুধু ট্রায়াল রানই হল। পাকাপাকিভাবে কবে দেশে এই ট্রেনকে ছুটতে দেখা যাবে সেই নিয়ে ইতিমধ্যে বহু মানুষ প্রশ্ন তুলতে শুরু করে দিয়েছেন। কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব আগেই জানিয়েছিলেন সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেই চলতি বছরেই এই ট্রেনকে চলতে দেখা যাবে ভারতে। সর্বোপরি বাংলার মানুষও প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন যে অন্যান্য বন্দে ভারত এক্সপ্রেস এর মতো বন্দে ভারত মেট্রোকে কবে বাংলার বুকে চলতে দেখা যাবে? এই নিয়ে এবার বিরাট আপডেট প্রকাশ্যে এল।
বন্দে ভারত মেট্রোর ট্রায়াল রান
বন্দে ভারত মেট্রোর ট্রায়াল রান হতে দেখে বেজায় খুশি রেল যাত্রীরাও। কবে যে সকলে এই নতুন ব্যবস্থার আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন তার অপেক্ষা করছেন। জানা গিয়েছে, শনিবার চেন্নাইয়ের ভিল্লিভাক্কাম ও কাটপাড়ির মধ্যে স্বল্প দূরত্বের আন্তঃনগর বন্দে মেট্রো ট্রেনের ট্রায়াল রান করা হয়। বহু প্রতীক্ষিত বন্দে মেট্রো চেন্নাই বিচ স্টেশন থেকে যাত্রা শুরু করে ভিল্লিভাক্কাম থেকে কাটপাডি পর্যন্ত রাউন্ড ট্রিপ মারে। আর এই ট্রায়াল রান দেখতে মানুষের ভিড় রীতিমতো উপচে পড়ে স্টেশনে। রেলওয়ে এবং ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি (আইসিএফ) কর্মকর্তারা ভিল্লিভাক্কাম থেকে ট্রেনে উঠে ট্রেনের স্পিড, কোনোরকম ত্রুটি আছে কিনা টা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পরীক্ষা করেন।
কবে ছুটবে বন্দে ভারত মেট্রো
স্বাভাবিকভাবেই এখন সকলের মধ্যে প্রশ্ন উঠছে কবে এই বন্দে ভারত মেট্রো ট্রেনটিকে ছুটতে দেখা যাবে? এই প্রসঙ্গে রেল জানাচ্ছে, “আগস্টের শেষ বা সেপ্টেম্বর থেকে ট্রেনটি যাত্রী পরিষেবা দিতে শুরু করবে এবং রুটগুলি শীঘ্রই চূড়ান্ত করা হবে।” পেরাম্বুরের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি থেকে প্রবর্তিত ট্রেনটি একটি ১২ কোচের ট্রেন যা এমইএমইউ এবং বন্দে ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের একটি হাইব্রিড সংস্করণ। প্রযুক্তিগত দিকগুলির বাইরে, সম্ভাব্য যাত্রীদের যা আকর্ষণীয় মনে হবে তা হ’ল এটি সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এবং এতে বাথরুমের সুবিধাও রয়েছে। বন্দে মেট্রো প্রতি ঘন্টায় ১০০-১৩০ কিলোমিটার গতিতে ভ্রমণ করতে পারে এবং এতে আরামদায়ক আসন, স্বয়ংক্রিয় দরজা এবং আসন্ন স্টেশনগুলি সম্পর্কে যাত্রীদের সতর্ক করার জন্য একটি অগ্রিম ঘোষণা ব্যবস্থা রয়েছে। রেলের বৈঠকে বন্দে ভারত মেট্রো বাংলাতেও চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু কবে এই পরিষেবা বাংলাতেও শুরু হয় সেদিকে নজর থাকবে সকলের।