দীর্ঘ এবার ২৮ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটতে চলেছে রাজ্যবাসীর। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী দু বছরের মধ্যে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত রেল লাইনের কাজ শেষ হয়ে যাবে, তারপরেই দেশের অন্যতম দীর্ঘ টানেলের মধ্যে দিয়ে ট্রেনকে ছুটতে দেখা যাবে। রেল যাত্রীরা ১২টি রেল স্টেশন, ১৭টি টানেল এবং ২৫টি ব্রিজ পার করবেন যাত্রাপথে। আরও বিশদে জানতে চোখ রাখুন আজকের এই প্রতিবেদনটির ওপর।
ঋষিকেশ-কর্ণপ্রয়াগ রেললাইন প্রকল্প
আজ কথা হচ্ছে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত উত্তরাখণ্ডের ঋষিকেশ-কর্ণপ্রয়াগ রেললাইন প্রকল্প নিয়ে।রেল লাইন নির্মাণের কাজ এখন পুরোদমে চলছে। কবে এই রেল লাইন প্রকল্পের কাজ শেষ হবে তা নিয়ে এবার সামনে এল বিরাট আপডেট। উত্তর রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার শোভন চৌধুরী, যিনি সম্প্রতি মুসৌরিতে একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন, তিনি বলেছেন যে প্রকল্পটি ২০২৬ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রস্তুত হয়ে যাবে এবং এটিতে ট্রেন চলাচল শুরু হবে। ঋষিকেশ-কর্ণপ্রয়াগ রেলপথের দৈর্ঘ্য ১২৫ কিলোমিটার। এর মধ্যে ১০৫ কিলোমিটার রেল লাইন পাতা হয়েছে টানেলের মধ্য দিয়ে। রেললাইনের কাজ প্রায় শেষের মুখে।
২৮ বছর ধরে চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে ঋষিকেশ-কর্ণপ্রয়াগ রেললাইন প্রকল্প
জানলে অবাক হবে, দীর্ঘ সেই ২৮ বছর ধরে চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে এই ঋষিকেশ-কর্ণপ্রয়াগ রেললাইন প্রকল্প। ১৯৯৬ সালে সতপাল মহারাজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থাকাকালীন রেলপথের জন্য একটি সমীক্ষা করা হয়েছিল। তবে কাজটি সার্ভের বাইরে আর এগোয়নি। এরপর ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার গঠনের পর, এই প্রকল্পটি গতি পায় এবং ২০১৫ সালে ঋষিকেশ-কর্ণপ্রয়াগ রেলপথ নির্মাণের কাজ শুরু হয়।
মাখনের মতো সোজা হবে চারধাম যাত্রা
এই রেল প্রকল্পের কাজ একবার শেষ হয়ে গেলে তীর্থযাত্রীদের জন্য একদম পোয়া বারো হবে। আরও মাখনের মতো সোজা হবে চারধাম যাত্রা। যমুনোত্রী, গঙ্গোত্রী, বদ্রীনাথ এবং কেদারনাথের যাত্রা সহজ হয়ে উঠবে। উত্তরাখণ্ডের তীর্থযাত্রী ও সাধারণ বাসিন্দা ছাড়াও সেনাবাহিনীর কাছেও এই রেললাইন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর ফলে চিন সীমান্তে সেনা ও সামরিক সরঞ্জাম চলাচল সহজ হবে বলে মনে হচ্ছে।
৬ ঘণ্টার রাস্তা ২ ঘণ্টায় শেষ হবে
এই ঋষিকেশ-কর্ণপ্রয়াগ রেললাইন পাতার জন্য প্রায় ১৬,২০০ কোটি টাকা খরচ হবে। এই রেললাইন নির্মাণের ফলে দুই শহরের মধ্যে যাতায়াত করতে খুব কম সময় লাগবে। বর্তমানে সড়কপথে ঋষিকেশ থেকে কর্ণপ্রয়াগ যেতে সময় লাগে কমপক্ষে ৬ ঘণ্টা। তবে এই রেল লাইন নির্মাণের মাধ্যমে, এই যাত্রা ট্রেনে মাত্র ২ ঘন্টায় শেষ করতে পারবেন যাত্রীরা। দেবপ্রয়াগ থেকে লাছমোলির মধ্যে তৈরি হচ্ছে ১৫.১ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রেলপথের দীর্ঘতম সুড়ঙ্গ।