কখনও ব্যবসায় যুক্ত হতে দেননি! টাটা ট্রাস্টের অশান্তির মধ্যে মুখ খুললেন রতন টাটার বোনেরা

Published:

Ratan Tata
Follow

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: গত বছর প্রয়াত হয়েছেন শিল্পপতি রতন টাটা (Ratan Tata)। তবে তাঁর প্রয়াণের পর থেকেই তাঁর উত্তরাধিকার ও টাটা ট্রাস্টের ভবিষ্যৎ নিয়ে নানারকম প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ও জল্পনা চলছে। এরই প্রেক্ষাপটে সম্প্রতি মুখ খুললেন তাঁর দুই সৎবোন শিরিন জিজিভয় ও ডিয়ানা জিজিভয়। তাঁরা স্পষ্ট জানলেন, রতন টাটা পরিবারকে খুবই ভালোবাসতেন, আগলে রাখতেন। কিন্তু কখনোই আত্মীয়তার সম্পর্ককে পেশাদার সিদ্ধান্তের উপর প্রভাব ফেলতে দেননি।

সম্প্রতি সংবাদমাধ্যম মিন্টের এক সাক্ষাৎকারের শিরিন বলেছেন, আমরা অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলাম। ভাই আমাদের সঙ্গে মজা করত। আমাদের প্রয়োজনে আমাদেরকে সাহায্য করত। এমনকি আমাদের মধ্যে স্নেহ আর ভালোবাসার মেলবন্ধন অন্যরকম ছিল। মা ওকে খুব ভালবাসতেন। নিঃসন্দেহে ও মায়ের প্রিয় সন্তান ছিল।

টাটা ট্রাস্ট নিয়েই মতভেদ

এদিকে সাম্প্রতিক সময়ে টাটা ট্রাস্ট বোর্ডের ভেতরে বিভাজন ও মেহলি মিস্ত্রির অপসারণ নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। আর তা নিয়ে এবার উদ্বেগ প্রকাশ করলেন শিরিন ও ডিয়ানা। তাঁরা বললেন, রতন টাটা সারা জীবন নৈতিকতার উপর ভরসা রেখে কাজ করেছেন। কিন্তু পরিবারের সম্পর্ককে কর্মক্ষেত্রের মধ্যে আসতে দেননি।

বলাবাহুল্য, রতন টাটা ২০২৪ সালের ৯ অক্টোবর প্রয়াত হন। এমনকি তিনি কখনও বিবাহ করেননি। বর্তমানে তাঁর পরিবারের সদস্যরা হলেন জিমি টাটা, সৎবোন শিরিন ও ডিয়ানা জিজিভয়, এবং সৎভাই নোয়েল টাটা, যিনি বর্তমানে টাটা ট্রাস্টসের চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। এদিকে রতন ও জিমির বাবা নৌল টাটা, মা সুনু কমিশারিয়াট। তাঁদের বিচ্ছেদের পরই সুনু বিবাহ করেন স্যার জামশেতজি জিজিভয়কে। তাঁদের আবার তিন কন্যা- শিরিন, ডিয়ানা ও গীতা। অন্যদিকে নৌল টাটা আবার দ্বিতীয়বার বিবাহ করেন সিমোন দুনোয়ারকে। যাদের সন্তান নোয়েল টাটা। দুর্ভাগ্যবশত ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্ত হয়ে বহু বছর আগে প্রয়াত হন গীতা।

পারিবারিক প্রভাব মানেননি রতন

এদিকে রতন টাটা জীবদ্দশায় কখনও পারিবারিক সদস্যদের টাটা ট্রাস্টসের পরিচালনায় অন্তর্ভুক্ত করেননি বলেই দাবি করলেন ডিয়ানা। তিনি বলেছেন, তিনি কখনও চাননি পরিবারের কেউ পেশাগত সিদ্ধান্তে যুক্ত থাকুক। আমি একবার স্যার দোরাবজি টাটা ট্রাস্টসে কাজ করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তা রতনের সিদ্ধান্তে নয়, বরং জামশেদ ভাবা আমাকে যোগ দিতে বলেছিলেন। এদিকে শিরিন ও ডিয়ানা বলেন, রতন সবসময় সঠিক কাজেই গর্ব বোধ করতেন। তিনি শুধুমাত্র নীতি দিয়ে কাজ করতেন না, বরং ব্যক্তিগত জীবনেও স্পষ্টভাবে নিজের প্রতি অগাধ বিশ্বাস রাখতেন।

আরও পড়ুনঃ ২৫৯১ জন দাগি শিক্ষাকর্মীদের তালিকা প্রকাশ SSC-র, লিস্টে একাধিক তৃণমূল ঘনিষ্ঠর নাম

পাশাপাশি রতন টাটার মতোই তাঁর দুই বোনও বিবাহ না করে প্রাণীদের ভালবাসতেন। শিরিন বলেছেন, রতনের দু’টি কুকুর ছিল। টিটো আর ট্যাঙ্গো। ছোটবেলায় ওরা অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল তাঁর। কিন্তু বড় হওয়ার পর ভয়ানক ঝগড়া শুরু হয়, এমনকি ওর জন্য খুব কষ্টও পেয়েছিল। অবশেষে যখন ওদের আলাদা করতে হয় তখন ও আমাদেরকে বলেছিল ট্যাঙ্গোকে নিয়ে যেতে। আজ ও আমাদের পরিবারের সদস্য।

গুরুত্বপূর্ণ
Join
চাকরির খবর
Join
রাশিফল
Join
খেলার খবর
Join