প্রীতি পোদ্দার, নয়া দিল্লি: আধার কার্ড, প্যান কার্ডের মত রেশন কার্ড (Ration Card) হল প্রত্যেক ভারতীয়দের কাছে একটি সরকারী নথি। যার মাধ্যমে ভারতের রাজ্য সরকারগুলি দ্বারা জারি করা পরিবারগুলির জন্য যা জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা আইনের অধীনে পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম থেকে ভর্তুকিযুক্ত খাদ্য শস্য কেনার লাইসেন্স পাওয়া যায়। আর এই কার্ডের মাধ্যমেই আজও ভারতে এমন অনেক মানুষ আছেন যারা দু’বেলা খাবারেরও ব্যবস্থা করতে পারেন। যার ভিত্তিতে মানুষ কম দামে রেশন পায়।
কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার এই রেশন কার্ডের এর জন্য বেশ কিছু যোগ্যতার মাপকাঠি নির্ধারণ করেছে। আর এই যোগ্যতার তালিকায় যে সকল গ্রাহক সরকারের সমস্ত শর্তাবলী পূরণ করবে একমাত্র তারাই রেশন পাবেন। তবে আপনি যদি একজন রেশন কার্ড হোল্ডার হয়েও কেন্দ্রীয় সরকারের এই নিয়ম না জানেন, তাহলে ভবিষ্যৎ এ অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন বলে জানা গিয়েছে।
কারা করতে পারবেন রেশন কার্ড?
কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ম অনুযায়ী বিনামূল্যে রেশন সংগ্রহ করার জন্য বেশ কিছু নিয়ম বেঁধে দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে গ্রামীণ এলাকায় কেউ যদি রেশন কার্ডের জন্য আবেদন করেন তাহলে তার পরিবারের বার্ষিক আয় যেন ২ লাখ টাকার কম হয়। পাশাপাশি শহরাঞ্চলে বসবাসকারী লোকদের রেশন কার্ড পেতে গেলে বার্ষিক আয় ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে হবে। এবং পরিবারে যেন কোনো আয়করদাতা না থাকে। তাই সেক্ষেত্রে যদি কেউ ভুল উপায়ে রেশন কার্ড পেয়ে থাকেন, তাহলে তা সঙ্গে সঙ্গে আত্মসমর্পন করাই ভালো। অন্যথায়, সরকারের তরফ থেকে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
কারা করতে পারবেন না রেশন কার্ড?
অন্যদিকে কারোর যদি ১০০ বর্গমিটারের বেশি জমি থাকে বা সেই পরিমাণ জমির মধ্যে একটি প্লট, ফ্ল্যাট বা বাড়ি থাকে, তাহলে সেই মানুষেদের জন্য রেশন কার্ড তৈরি হয় না। যদি কারও কাছে একটি চার চাকার যান গাড়ি এবং ট্রাক্টর থাকে তাহলে তিনি রেশন কার্ড পাবেন না। শুধু তাই নয়, যাদের বাড়িতে এসি, ফ্রিজ আছে এবং সেই বাড়িতে কোনো সদস্য যদি সরকারি চাকরি করে তাহলে সে রেশন কার্ড পাবে না। কিন্তু এর পরেও যদি কেউ রেশন কার্ড করে থাকেন তাহলে তা বাতিল করা হবে এবং শাস্তিস্বরূপ মোটা টাকা ক্ষতিপূরণ নেওয়া হবে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |