লোকসভা ভোটের মুখে ফের একবার কড়া মনোভাব দেখালো রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI)। যদিও আরবিআই-এর তরফে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সে সম্পর্কে শুনলে আপনার ঠোঁটের কোণে হাঁসি ফুটবে।মূলত ব্যাঙ্ক এবং ব্যাঙ্ক নয় এমন প্রতিষ্ঠানগুলির জালিয়াতি রুখতে কড়া নির্দেশিকা জারি করেছে আরবিআই।
আপনিও কি আগামী দিনে হোম লোক, পার্সোনাল লোন কিংবা অন্য কোনও লোন নেওয়ার পরিকল্পনা করে থাকলে আজকের এই প্রতিবেদনটির ওপর নজর রাখা উচিৎ। আসলে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া দেশের বহু ব্যাঙ্ক ও এনবিএফসি-র উদ্দেশ্যে চরম সতর্কতা জারি করেছে। আর সতর্কতা হল ঋণ নিয়ে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফে ব্যাঙ্কগুলিকে ঋণ অনুমোদনের দিন থেকে সুদ নিতে নিষেধ করা হয়েছিল। এবার থেকে গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টে ঋণের অর্থ ঢোকার দিন থেকেই সুদ গণনা করতে হবে সকল ব্যাঙ্ক ও ব্যাঙ্ক নয় এমন আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে।
হোম লোন বা অন্য ধরনের ঋণ নেওয়ার সময়, অনুমোদন এবং অর্থ প্রদানের মধ্যে প্রায়ই দেরি হয়। ঋণ অনুমোদনের তারিখ থেকে ব্যাংক যদি সুদ আদায় করে, তাহলে তা ঋণগ্রহীতার জন্য বাড়তি বোঝা হয়ে দাঁড়ায় স্বাভাবিকভাবেই। তবে আর ‘দাদাগিরি’ চলবে না, যদি কোনও ব্যাঙ্ক বা এনবিএফসি এই কাজ করে থাকে তাহলে তাকে দ্রুত বাড়তি অর্থ ব্যাঙ্ককে ফেরত দিতে হবে। RBI সাফ সাফ জানিয়ে দিয়েছে, এবার থেকে গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে যেদিন ঋণের অর্থ ঢুকবে সেদিন থেকেই সুদ গণনা করতে পারবে ব্যাঙ্ক সহ অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মতে, ঋণ অনুমোদন বা ঋণ চুক্তির দিন থেকে সুদ নেওয়া একেবারেই নিয়ম বিরুদ্ধ। অনেক সময় ঋণ দেওয়ার আগেই গ্রাহকের কাছ থেকে সুদের টাকা নেওয়া শুরু করে ব্যাঙ্ক থেকে শুরু করে ব্যাঙ্ক নয় এমন প্রতিষ্ঠানগুলি বলে অভিযোগ। আসলে অনেক সময় ঋণ মঞ্জুর হওয়ার পর বেশি টাকা পেতে দেরি হয়। অনেকেই অভিযোগ তোলেন ঋণ নেওয়ার খরচ বেড়ে যায়। দ্বিতীয়ত, চেকের মাধ্যমে ঋণ দিলে অনেক সময় ব্যাংকগুলো চেকের তারিখ থেকে সুদ আদায় শুরু করে, চেক ছাড়ার তারিখ থেকে নয়। এর মানে হল যে গ্রাহককে সেই অর্থের উপর সুদ দিতে হতে পারে যা তিনি এখনও ব্যবহারই করেননি, আর এই বিষয়টি রুখতেই বড় নির্দেশ দিয়েছে আরবিআই।