বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্কে ডাকাতি (SBI Robbery)। জানা যাচ্ছে, কর্নাটকের বিজয়পুরা শহরের ব্যাঙ্কে ঢুকে কর্মীদের মারধর শুরু করেন একদল পিস্তলধারী। এরপরই ব্যাঙ্ক কর্মীদের বেঁধে রেখে সেখান থেকে কোটি কোটি টাকা সহ 58 কেজি সোনা নিয়ে চম্পট দেয় ডাকাতেরা। গোটা ঘটনায় ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। খবর পেয়ে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
ভয়াবহ ডাকাতির ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকাবাসী
NDTV-র রিপোর্ট অনুযায়ী, মঙ্গলবার সন্ধ্যা 6টা নাগাদ কর্ণাটকের বিজয়পুরা শহরের একটি SBI শাখায় হঠাৎ মুখে মাস্ক বেঁধে হানা দেয় একদল পিস্তলধারী। প্রত্যক্ষদর্শী ব্যাঙ্ক কর্মীদের বক্তব্য, তাদের পরনে ছিল সেনার পোশাক। ব্যাঙ্কে ঢুকতেই প্রথমে ম্যানেজারের রুমে যায় ওই ডাকাত দল। এরপর কোষাধক্ষের সামনে গিয়ে দেশি পিস্তল দেখিয়ে হুমকি দিতে শুরু করে দুর্বৃত্তরা।
এক প্রত্যক্ষদর্শীর দাবি, ডাকাতদের প্রত্যেকের মুখেই কালো মাস্ক বাঁধা ছিল। তারা বেশ কয়েকজন কর্মীকে ডেকে এনে বেধারক মারধর করতে শুরু করেন। অভিযোগ, বেশ কিছুক্ষণ ধরে ব্যাঙ্কের মধ্যেই তান্ডব চালায় ওই ডাকারদলটি। শেষে ব্যাঙ্ক কর্মীদের বেঁধে রেখে লুঠপাট চালায় তারা। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের দাবি, ওই ডাকাত দলটি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ব্যাঙ্কের কোষাগার সহ অন্যান্য লকার মিলিয়ে 8 কোটি টাকা এবং 58 কেজি সোনা নিয়ে চম্পট দেয়।
এদিকে গোটা ঘটনার খবর পেয়েই তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছেয় বিজয়পুরার পুলিশ। ব্যাঙ্ক লুঠের পিছনে আদতে কারা দায়ী, তা নিয়েই শুরু হয়েছে তদন্ত। সূত্রের খবর, বিজয়পুরার মতো শহরে দাঁড়িয়ে ডাকাত দলের দাপাদাপির খবর পেতেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, যত দ্রুত সম্ভব দোষীদের খুঁজে বের করুক পুলিশ।
অবশ্যই পড়ুন: পুজোর আগে হচ্ছে না ক্ষুদিরাম মেট্রোর ক্রসওভার! বড় সিদ্ধান্ত কর্তৃপক্ষের
প্রসঙ্গত, বিজয়পুরের ব্যাঙ্ক লুঠের ঘটনায় তদন্তে নেমে পুলিশ জানিয়েছে, যে গাড়িতে করে ওই ডাকাত দল ব্যাঙ্কে পৌঁছেছিল, সেটি রাস্তার ধারে পাওয়া গিয়েছে। পুলিশ আধিকারিকদের অনুমান, খুব সম্ভবত ব্যাঙ্ক থেকে সোনা গহনা সহ কোটি টাকা লুঠ করে তারা মহারাষ্ট্রের দিকে পালিয়েছেন। জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই ওই ডাকাত দলকে পাকড়াও করতে যৌথ অভিযানে নেমেছে কর্ণাটক এবং মহারাষ্ট্র পুলিশ। বিভিন্ন জায়গায় চলছে নাকা তল্লাশি। এদিকে, অভিযুক্তদের চেহারার গঠন সহ অন্যান্য তথ্য পেতে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।