প্রীতি পোদ্দার, নয়া দিল্লি: ২০২১ সালের ২৮ অক্টোবর এবং ২০২৪ সালের ১২ মার্চ দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল যে প্রতিটি রাজ্যে বিশেষভাবে সক্ষম ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক শিক্ষিকা নিয়োগ করতে হবে। যেখানে প্রতি ১০ জন প্রাথমিক ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য একজন শিক্ষক এবং মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিকের ক্ষেত্রে প্রতি ১৫ জনে একজন বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে রাজ্য সরকারগুলিকে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের এই নির্দেশিকা (Special Abled Students Education) পশ্চিমবঙ্গ সরকার সহ ভারতের বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে এখনও পর্যন্ত ঠিকভাবে পালন করা হচ্ছে না বলে এবার মামলাকারীদের পক্ষ থেকে বড় অভিযোগ আনা হল সুপ্রিম কোর্টে।
শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন পড়ুয়ারা!
সুপ্রিম কোর্টের এই মামলায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকদের আইনজীবী আশীষ কুমার চৌধুরী ও আইনজীবী সুখেশ ঘোষ মামলার শুনানিতে শীর্ষ আদালতকে জানায় যে, কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশিকা থাকা সত্ত্বেও রাজ্য সরকার সেই নির্দেশিকা ঠিকভাবে মেনে চলেনি। তাইতো বিশেষ চাহিদা সম্পূর্ণ পড়ুয়াদের জন্য বিশেষভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগে বেপরোয়া মনোভাব দেখাচ্ছে। এছাড়াও আইনজীবীদের আরও অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এই গড়িমসিতায় তাই বিশেষভাবে সক্ষম ছাত্র-ছাত্রীরা সঠিক পঠনপাঠন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
ক্ষুব্ধ বিচারপতি
রাজ্য সরকারের এইরূপ পদক্ষেপ রীতিমত বিশেষভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক শিক্ষিকারাও তাঁদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। শিক্ষার আলো থেকে ক্রমেই সরে যাচ্ছে তারা। অনিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও ধীরে ধীরে অন্ধকারময় ভবিষ্যৎ এর দিকে যাত্রা করছে তাঁরা। তাই শীর্ষ আদালতের আরও কঠোরভাবে হস্তক্ষেপের প্রয়োজন আছে বলে মনে করছেন আইনজীবীরা। এদিকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে জানানো হয় যে, রাজ্যে প্রায় ১ লক্ষ ৩৫ হাজার ৭৯৬ জন পড়ুয়া রয়েছে, যারা বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন। কিন্তু এত সংখ্যক পড়ুয়ার শিক্ষাজীবন নিয়ে উঠছে নানা প্রশ্ন। যা শুনে রীতিমত ক্ষুব্ধ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা।
বড় সিদ্ধান্ত সুপ্রিম কোর্টের
তাই এদিন দুই পক্ষের সওয়াল জবাবের পর সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়ার ডিভিশন বেঞ্চ পশ্চিমবঙ্গ সহ প্রতিটি রাজ্যকে আগামী ২৮ মার্চের মধ্যে বিজ্ঞপ্তি জারির নির্দেশ দিয়েছে। এবং শিক্ষকের প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী শিক্ষক নিয়োগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি যারা বর্তমানে সমগ্র শিক্ষা মিশনে অস্থায়ী শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত ও কর্মরত রয়েছেন, একটি বিশেষ কমিটি গঠন করে তাঁদেরও স্থায়ীকরণের বিষয়টি নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এবং এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে সুপ্রিম কোর্ট। জানা গিয়েছে আগামী ১৫ জুলাই এই মামলার শুনানি হবে।
আরও পড়ুনঃ বেসরকারি স্কুলে কমবে বেতন, বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে রাজ্য সরকার
রাজ্য রাজনীতি, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা সংক্রান্ত নানা ধরনের খবরের লেটেস্ট আপডেট পেতে এখনই ফলো করুন আমাদের India Hood Bangla কে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |