একের পর এক দুর্নীতিকাণ্ডকে ঘিরে বারবার অস্বস্তিতে পরতে হচ্ছে বাংলার সরকারকে। এসএসসি দুর্নীতি থেকে শুরু করে টেট দুর্নীতি, এখন দোসর হয়েছে জিটিএ দুর্নীতি। বিগত কিছু সময় ধরে এসএসসি-র প্রায় ২৬,০০০ শিক্ষকের চাকরি বাতিলের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সরগরম হয়ে রয়েছে বাংলা। মামলাটি এখন সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। আগামী সোমবার রয়েছে পরবর্তী শুনানি। এরই মাঝে পাহাড়ের জিটিএ দুনীতি নিয়ে প্রকাশ্যে এল বড় খবর।
এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তবে এবার এই ঘটনায় কিছুটা হলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। জিটিএ দুর্নীতির সিবিআই তদন্ত করতে হাইকোর্টের নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। এই বিষয়ে সব পক্ষকে নোটিশ জারি করে জানিয়ে দিল দেশের শীর্ষ আদালত।
ফলে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর জিটিএ নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে আপাতত স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল রাজ্য সরকার। এদিকে পরবর্তী শুনানির দিন অবধি সিবিআই তদন্তে স্থগিতাদেশ থাকবে বলে জানা গিয়েছে। এখন নিশ্চয়ই ভাবছেন যে এই দুর্নীতি মামলায় পরবর্তী শুনানি কবে? তাহলে আপনাদের জানিয়ে রাখি, আগামী ২ সপ্তাহ পর জিটিএ নিয়োগ মামলার শুনানি হবে। উল্লেখ্য, ২০২২ সালে জিটিএ-র অধীনে বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ প্রকাশ্যে আসে।
তৎকালীন জিটিএ-র চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার অনীত থাপা এবং বিনয় তামাং বেআইনিভাবে প্রায় ৫০০ শিক্ষক নিয়োগ করেছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। দুই নেতার অনেক দলীয় কর্মী-সমর্থক ও পরিবারের সদস্যদের চাকরি দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি।রাজ্যের সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলিতে স্কুল কর্মী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বর্তমানে জেলে রয়েছেন। আজ থেকে দু বছর আগে জুলাই মাসে তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।