বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: হাইপারসনিক যুগে প্রবেশ করল ভারত। অন্য কোনও তৃতীয় শক্তির দমে নয় বরং, নিজের ঘরেই উচ্চশক্তি সম্পন্ন হাইপারসনিক মিসাইল বহনকারী প্রয়োজনীয় ইঞ্জিন (Scramjet Combustor) তৈরি করে তাক লাগল তৃতীয় বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশটি। সূত্রের খবর, 120 সেকেন্ডে সময় নিয়ে ফুল লোডে ইঞ্জিনের কার্যকারিতা পরীক্ষা করার পর অবশেষে হাই পারসনিক অস্ত্র বহনের ক্ষমতা অর্জন করল ভারত। এবার থেকে দেশের মাটিতেই তৈরি হবে হাইপারসনিক মিসাইল বহনকারী ইঞ্জিন।
দীর্ঘ পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর অবশেষে স্বস্তি
বেশ কয়েকটি রিপোর্ট মারফত খবর, হাইপারসনিক অস্ত্র বহনের জন্য প্রয়োজন শক্তিশালী ইঞ্জিন। আর সেই ইঞ্জিন তৈরির লক্ষ্যে বহু আগেই পা বাড়িয়েছিল ভারত। যাতে অন্য কোনও দেশের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে না হয়, সে জন্য হাইপারসনিক মিসাইল বহনকারী ইঞ্জিন তৈরি করে তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হয়ে গিয়েছিল জানুয়ারিতেই। জানা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারি নাগাদ বেঙ্গালুরুতে প্রথমবারের জন্য ইঞ্জিনটির পরীক্ষা হয়।
এরপর ইঞ্জিনের কার্যকারিতা খতিয়ে দেখতে সেটি নিয়ে আরও কিছুদিন কাটাছেঁড়া করেন বিজ্ঞানীরা। অবশেষে সেই চেষ্টায় ধরা দিয়েছে সাফল্য। ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন বা ডিআরডিওর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে হাই পারসনিক অস্ত্রশস্ত্র বহনের জন্য প্রয়োজনীয় ইঞ্জিন তৈরিতে সফল ভারত। এবার থেকে এই ইঞ্জিনের জন্য আর অন্য কোনও দেশের ওপর নির্ভর করে থাকতে হবে না প্রতিরক্ষা মন্ত্রককে।
বেসরকারি সংস্থার সাথে গাঁটছড়া বেঁধেই তৈরি স্ক্যামজেট কমবাস্টার
একাধিক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ভারতের ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন একটি বেসরকারি সংস্থার সাথে গাঁটছড়া বেঁধেই হাইপারসনিক মিসাইল বহনকারী ইঞ্জিন তৈরি করেছে। সূত্র বলছে, এই মিসাইল বহনকারী ইঞ্জিন অন্যান্য সাধারণ ইঞ্জিন গুলির তুলনায় অনেক বেশি ক্ষমতা সম্পন্ন।
স্ক্যামজেট কমবাস্টারের ক্ষমতা
ভারতের প্রতিরক্ষা বিজ্ঞানীদের একটা বড় অংশ দাবি করেছেন, হাইপারসনিক অস্ত্র নিয়ে হামলা করতে যেমন ইঞ্জিনের প্রয়োজন হয়, সেই সব ইঞ্জিন তৈরির প্রযুক্তি খুব একটা বেশি ভারতের হাতে নেই। তবে ডিআরডিওর অবসরপ্রাপ্ত বিজ্ঞানীদের বক্তব্য, হাইপারসনিক অস্ত্র দিয়ে মিসাইল ছড়ার সময় ফায়ার চলাকালীন ইঞ্জিনের তাপমাত্রা অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যায়।
একইভাবে টার্গেট হিট করার সময় সেই তাপমাত্রা অনেকটাই কমে আসে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাধারণ হাইপারসনিক ইঞ্জিনগুলি দ্রুত গরম হয়ে গেলেও ভারতে তৈরি এই নতুন স্ক্যামজেট কমবাস্টার নিমেষে তাপমাত্রা কমিয়ে আনার ক্ষমতা রাখে।
ইঞ্জিন তৈরি করায় কতটা লাভ হবে ভারতের?
গত বছরের অক্টোবরে খুব গোপনে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছিল ভারত। সেবার ভারতে তৈরি হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ছিল আমেরিকা, রাশিয়া ও চিনের মতো শক্তিশালী দেশগুলির সাথে পাল্লা দেওয়ার মতো। জানা গিয়েছিল, ভারতে তৈরি এই ক্ষেপণাস্ত্র স্থল, জল এবং আকাশ উভয় ক্ষেত্রেই জোরালো আঘাত হানতে পারে।
অবশ্যই পড়ুন: পড়ুয়াদের ৬০,০০০ টাকা দেবে কেন্দ্র সরকার! কারা পাবেন, কীভাবে আবেদন? জানুন তথ্য
সেই সঙ্গে 480 কেজির বিস্ফোরক নিয়ে হামলা চালানোর ক্ষমতা রয়েছে এই মিসাইলের। বিশেষজ্ঞদের মতে, হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির পর এবার তার ইঞ্জিন তৈরি করায় ভারতের শক্তি আরও কয়েকগুণ বাড়লো। সূত্র বলছে, বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে ভারত। বল হচ্ছে, উচ্চ শক্তি সম্পন্ন ব্রহ্মোস তৈরির পর সেই তালিকায় নতুন মাত্রা জুড়ালো উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন হাইপারসনিক অস্ত্র বহনকারী ইঞ্জিন স্ক্যামজেট কমবাস্টার।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |