সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: কাশ্মীর উপত্যকায় ফের জঙ্গি দমন অভিযান! বৃহস্পতিবার সকালে জন্মু ও কাশ্মীরের অবন্তীপোরার ত্রালে শুরু হয়েছে সেনাবাহিনীর জঙ্গি দমন অপারেশন (Anti-Terror Operation)। সূত্রের খবর, কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই টানা গুলিবর্ষণে তিন জঙ্গিকে নিকাশ করা হয়। আর নিহতদের মধ্যে একজন ছিলেন পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে জড়িত।
কীভাবে হল অভিযান?
বেশ কিছু সূত্র মারফত খবর, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার ভোরবেলা অভিযান চালিয়েছিল সেনাবাহিনী এবং কাশ্মীর পুলিশ। জঙ্গলের এক নির্জন এলাকায় লুকিয়ে ছিল ওই দিন জঙ্গি। এমনকি নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতি বুঝতে পেরে তারা গুলি চালানো শুরু করে। এমতাবস্থায় শুরু হয় তীব্র গুলির লড়াই। আর শেষমেষ নিকেশ হয় ওই তিন কুখ্যাত জঙ্গি।
কারা এই তিনজন?
নিরাপত্তা বাহিনীর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ওই নিহত তিনজনই ছিল জইশ-ই-মহম্মদের নামকরা সদস্য। প্রথমজন ছিল আসিফ শেখ, যার বয়স 28। তিনি কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছে। এমনকি পহেলগাঁও হামলায় তার হাত ছিল। দ্বিতীয় জন ছিল আমির নাজির ওয়ানি, যার বয়স 20। তিনি স্নাতক স্তরের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। আর তৃতীয়জন ছিল ইয়ার ভাট, যার বয়স 26। তিনি নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। আর তিনজনই গত কয়েক মাস ধরে ওই সীমান্তবর্তী এলাকায় ঘোরাফেরা করছিল বলেই কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত কিছুদিন আগে পহেলগাঁওয়ে এক সন্ত্রাসী হামলায় 26 জন পর্যটকের ধর্ম জিজ্ঞাসা করে তাঁদের নিরীহভাবে খুন করা হয়। আর এই ঘটনায় গোটা দেশের টনক নড়ে যায়। পরে ভারতীয় সেনাবাহিনী অপারেশন সিঁদুর চালিয়ে 9 টি জঙ্গি ঘাঁটিকে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল। এবার ওই ঘটনায় যে সমস্ত জঙ্গিরা জড়িত ছিল তাদের চিহ্নিত করে তল্লাশি চালাচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী। আর অবশেষে তাদেরই একজন এই আসিফ শেখ, যে সেনার গুলিতে জখম হয়েছে।
সাফল্য পেল অপারেশন কেল্লা
প্রসঙ্গত, এই অভিযানের পর সোপিয়ানে আরও এক সন্ত্রাস দমন অভিযান চালানো হয় অপারেশন কেল্লা। আর সেখানেও খতম হয়েছে আরও তিন জঙ্গি। সেনাদের সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণে অস্ত্র, গোলাবারুদ, হাত বোমা, ভারতীয় সেনার পোশাক, বান্ডেল বান্ডেল ভারতীয় টাকা, শুকনো খাবার ও বিস্কুট উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ মোদি প্রতিশোধ নেবেই! বাঁচবে না পাকিস্তান! জেলে বসেই সাবধানবাণী দিলেন ইমরান খান
এমনকি সোপিয়ান অভিযানে নিহতদের মধ্যে দুজনের পরিচয় নিশ্চিত করা গিয়েছে। একজন ছিল শাহিদ কুট্টে, যিনি চটিপোড়া হিরপোড়া এক বাসিন্দা। তিনি লস্কর-ই-তৈবার ‘এ’ ক্যাটাগরির জঙ্গি। আর দ্বিতীয় জন আদনান সফি দার, যার বাড়ি ওয়ান্দুনা মেলহোরাতে। তিনি 2014 সালে লস্কর-ই-তৈবার ‘সি’ ক্যাটাগরিতে নাম লিখিয়েছিলেন। যদিও একজনের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |