৪ নভেম্বর থেকে বাড়ি যাবে BLO-রা! দেখুন এনুমারেশন ফর্ম কেমন হবে আর কীভাবে ভরবেন

Published:

SIR in West Bengal
Follow

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: বাংলায় শুরু হয়েছে এসআইআর (SIR in West Bengal)। মূলত ভোটার তালিকায় কোনও যোগ্য নাগরিক যাতে বাদ না যায় এবং অযোগ্যরা ঢুকে না পড়ে, তার জন্যই এই বিশেষ নিবিড় সংশোধন। সোমবার কমিশন বাংলা সহ মোট ১২টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে শুরু করেছে এই প্রক্রিয়া এবং মঙ্গলবার থেকেই তা কার্যকর হয়েছে। এই এসআইআর প্রক্রিয়ার মধ্যে বিএলও-রা বাড়ি বাড়ি গিয়ে এনুমারেশন ফর্ম দেবে, আর সেই ফর্ম ফিলাপ করেই জমা দিতে হবে। প্রশ্ন উঠছে, এই ফর্মটি কেমন হবে এবং কী কী তথ্য সেই ফর্মে ইনপুট করতে হবে। জানতে চোখ রাখুন এই প্রতিবেদনটিতে।

কীভাবে পূরণ করবেন এনুমারেশন ফর্ম?

নির্বাচন কমিশন স্পষ্ট জানিয়েছে, আজ পর্যন্ত যাদের নাম ভোটার তালিকায় রয়েছে, তারা সকলেই এই এনুমারেশন ফর্ম পাবে। যারা এনুমারেশন ফর্ম জমা দেবে না, তাদের নাম বাতিল হবে। তবে এই ফর্ম পূরণ করতে হলে নিম্নলিখিত ধাপগুলি অনুসরণ করতে হবে—

  • ফর্মের শুরুতে নাম এবং যোগাযোগের নম্বর থাকবে। তবে ওই জায়গাটি শুধুমাত্র বিএলও-দের জন্যই রাখা হয়েছে।
  • এরপর Date of Birth (DD/MM/YYYY) অর্থাৎ ভোটারের জন্ম তারিখ, মাস এবং সাল লিখতে হবে।
  • এরপর Aadhar No. (Optional) এর জায়গায় নিজের আধার নম্বর ইনপুট করতে হবে। যদিও এটি বাধ্যতামূলক নয়, অপশনাল ভাবে রাখা আছে।
  • এরপর মোবাইল নম্বরে জায়গায় নিজের মোবাইল নম্বরটি লিখতে হবে।
  • এরপর Father’s/ Guardian’s Name এর জায়গায় ভোটার তার বাবা বা অভিভাবকের নাম লিখতে পারবে।
  • এরপর Father’s/ Guardian’s Epic No (If Available). এর জায়গায় অভিভাবকের যদি ভোটার কার্ড থাকে, তাহলে সেই নাম লিখতে হবে।
  • এরপর Mother’s Name এর জায়গায় ভোটার তার মায়ের নাম লিখবে।
  • এরপর Mother’s Epic No (If Available) এর জায়গায় তার মায়ের ভোটার কার্ড থাকলে তা লিখতে হবে।
  • এরপর Spouse ‘s Name (If Applicable) এর জায়গায় স্বামী কিংবা স্ত্রীর নাম লিখতে হবে, যদি দরকার হয়।

এরপর ফর্মে “Details of Elector in the Electoral Roll of the last SIR” লেখা পাওয়া যাবে। সেখানে শেষ এসআইআর অর্থাৎ ২০০২ সালে যে সংশোধন হয়েছিল, সে সংক্রান্ত ভোটারের ক্রমিক নম্বর সহ বিস্তারিত তথ্য লিপিবদ্ধ করতে হবে। সেগুলি পূরণ করতে হলে নিম্নলিখিত ধাপগুলি অনুসরণ করুন—

  • প্রথমে Elector Name এর জায়গায় ভোটারকে তার নিজের নাম লিখতে হবে।
  • এরপর EPIC No. (if available) এর জায়গায় নিজের ভোটার আইডি কার্ডের নম্বর লিখতে হবে যদি থাকে।
  • এরপর Relative’s Name এর জায়গায় নিজের পরিবারের যে কোনও আত্মীয়র নাম লিখতে হবে।
  • এরপর Relationship এর জায়গায় ওই আত্মীয় সম্পর্কে কী হয়, তা লিখতে হবে।
  • এরপর District এর জায়গায় নিজের জেলা লিখতে হবে।
  • এত State এর জায়গায় নিজের রাজ্য লিখতে হবে।
  • এরপর AC Name এর জায়গায় তৎকালীন বিধানসভা কেন্দ্রের নাম লিখতে হবে।

এই কলামে সমস্ত তথ্য দেওয়ার পরে আরও একটি কলাম পাওয়া যাবে। সেখানে যে আত্মীয়র নাম লিখেছেন, তার বিস্তারিত তথ্য দিতে হবে। সেক্ষেত্রে নিম্নলিখিত তথ্যগুলি আপনাকে ইনপুট করতে হবে—

  • প্রথমে আপনার সেই আত্মীয়ের ভোটার আইডি কার্ডে যা নাম আছে তা লিখতে হবে।
  • এরপর EPIC no. (If available) এর জায়গায় পরিবারের ওই সদস্যের ভোটার আইডি কার্ডের নম্বর লিখতে হবে।
  • এবার Relative’s Name এর জায়গায় পরিবারের ওই সদস্যের নাম লিখতে হবে।
  • এরপর Relationship এর জায়গায় আপনি সম্পর্কে কে হন তা লিখতে হবে।
  • এবার District এর জায়গায় জেলার নাম লিখতে হবে।
  • এবার State এর জায়গায় সদস্যের রাজ্যের নাম লিখতে হবে।
  • এবার AC Name এর নামের জায়গায় বিধানসভা কেন্দ্রের নাম লিখতে হবে।

বলাবাহুল্য, পাশাপাশি থাকা ভোটার এবং তার সদস্যের দুটি কলামের নীচেই দুজনের বিধানসভা কেন্দ্রের নাম পার্ট নম্বর এবং সিরিয়াল নম্বর বা ক্রমিক সংখ্যা লিখতে হবে। আর এইভাবে ফিলাপ করেই বিএলও-এর কাছে তা জমা দিতে হবে।

কোন কোন ডকুমেন্ট দরকার হবে?

উল্লেখ করে রাখি, যদি ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম না থাকে, তাহলে নিম্নলিখিত যে কোনও একটি ডকুমেন্ট দেখাতে হবে, যেগুলি নির্বাচন কমিশন দ্বারা স্বীকৃত—

  • ১৯৮৭ সালের ১ জুলাইয়ের আগে সরকার বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষ, ব্যাঙ্ক কিংবা পোস্ট অফিস, এলআইসি বা রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার দেওয়া কোনওরকম পরিচয়পত্র।
    নিজের জন্মের শংসাপত্র বা বার্থ সার্টিফিকেট।
  • পাসপোর্ট।
  • রাজ্য সরকারের দেওয়া স্থায়ী বাসস্থানের প্রমাণপত্র।
  • যে কোনও স্বীকৃত পর্ষদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া মাধ্যমিকের সার্টিফিকেট কিংবা শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট।
  • ফরেস্ট রিজার্ভ সার্টিফিকেট।
  • উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের দেওয়া তপশিলি জাতি, তপশিলি উপজাতি, অনগ্রসর সম্প্রদায় বা অন্য যে কোনও কাস্ট সার্টিফিকেট।
  • জাতীয় নাগরিকের নথি বা এনআরসি।
  • সরকারের তরফ থেকে দেওয়া কোনও জমি বা বাড়ি বরাদ্দের শংসাপত্র কিংবা দলিল।
  • রাজ্য কিংবা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের দ্বারা তৈরি করা ফ্যামিলি রেজিস্টার তথ্য।
  • কেন্দ্রীয় সরকার, রাজ্য সরকার বা রাষ্ট্রায়ত্ত কোনও সংস্থার দেওয়া পরিচয়পত্র। এছাড়াও অবসরপ্রাপ্তরা পেনশন পেমেন্টের অর্ডারও দেখাতে পারে।

আরও পড়ুনঃ গ্যাস সিলিন্ডার লিক করে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড! ঝলসে গেল কলকাতা পুলিশের ASI সহ তিন

উল্লেখ্য, ২৮ অক্টোবর থেকে এই এনুমারেশন ফর্ম ছাপানোর কাজ শুরু হয়েছে এবং সেদিন থেকেই বিএলও-দের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। আর এই প্রশিক্ষণ চলবে আগামী ৩ নভেম্বর পর্যন্ত। আগামী ৪ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্তই বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের হাতে এই এনুমারেশন ফর্ম তুলে দেওয়া হবে। তবে যারা বাইরে থাকেন বা বিদেশে রয়েছে, তারা অনলাইনেও ফর্ম জমা দিতে পারবে।

গুরুত্বপূর্ণ
Join
চাকরির খবর
Join
রাশিফল
Join
খেলার খবর
Join