শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ ভারতীয় রেল (Indian Railways) নিয়ে সাধারণ মানুষের কৌতূহলের শেষ নেই। বর্তমান সময়ে দেশের সিংহভাগ মানুষ লোকাল ট্রেন থেকে শুরু করে এক্সপ্রেস ট্রেনে করে যাতায়াত করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। কারণ দেশের মধ্যে সবচেয়ে কম ভাড়া হয় এই ট্রেনেরই। বাসের তুলনায় ট্রেনের ভাড়া অনেক কম। রেল ভাড়া বাবদ কাজ করার সবচেয়ে বড় কারণ যাত্রী ভাড়ায় সরকার যে ভর্তুকি দেয়, কিন্তু জানেন কি রেল যাত্রীদের কত ভর্তুকি দেয়? বুধবার সংসদে এই প্রশ্নের উত্তর দেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।
সংসদে জবাব রেলমন্ত্রীর
তিনি বলেন, দেশের প্রতিটি রেল যাত্রীকে ভ্রমণের টিকিটে ৪৬ শতাংশ ভর্তুকি দেওয়া হয়। লোকসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, রেল মন্ত্রক প্রতি বছর যাত্রীদের ভর্তুকি বাবদ ৫৬,৯৯৩ কোটি টাকা ব্যয় করে। প্রবীণ ও স্বীকৃত সাংবাদিকদের আগের ভর্তুকি পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে মন্ত্রী বলেন, “ভারত সরকার যাত্রীদের মোট ভর্তুকি দিয়েছে ৫৬,৯৯৩ কোটি টাকা। ভ্রমণ পরিষেবার প্রতি ১০০ টাকার জন্য, মূল্য ৫৪ টাকা চার্জ করা হয়। এছাড়া সব শ্রেণির যাত্রীদের ৪৬ শতাংশ ভর্তুকি দেওয়া হয়।” যদিও এসবের মধ্যে আরও একটা প্রশ্ন উঠছে, ২০২৫ সালে ট্রেনের ভর্তুকির ব্যাপারে রেল কি কোনো সিদ্ধান্ত নেবে? জেনে নিন বিশদে।
নজরে ২০২৫ সালের বাজেট
বর্তমানে দেশবাসীর নজর রয়েছে ২০২৫ সালের বাজেট অধিবেশনের ওপর। কোন কোন জিনিসের দাম বাড়বে, কমবে। সেইসঙ্গে কী কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে সেদিকে চাতক পাখির মতো তাকিয়ে রয়েছেন মানুষজন। শুধু তাই নয় কেন্দ্রীয় বাজেটের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন সিনিয়র সিটিজেনরাও কারণ কোভিড মহামারীর আগে অবধি সকলেই ট্রেনে টিকিটের ওপর ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ অবধি ছাড় পেয়ে যেতেন। তবে কোভিডের পর থেকে সেই নিয়ম তুলে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
২০১৯ সাল অবধি মেল, এক্সপ্রেস, রাজধানী, শতাব্দীর ট্রেনের টিকিটের ওপর মহিলারা ৫০ শতাংশ ছাড় পেতেন এবং পুরুষ ও রূপান্তরকামী প্রবীণ নাগরিকদের ৪০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হত। লকডাউনের পর ধীরে ধীরে ট্রেন চলাচল শুরু হলেও প্রবীণ নাগরিক ও মহিলাদের জন্য ছাড় ফিরিয়ে দেওয়া হয়নি। এহেন অবস্থায় ২০২৫ সালের বাজেট নিয়ে আশাবাদী সাধারণ মানুষ। সরকার ফের এই নিয়ম ফিরিয়ে আনবে বলে মনে করছেন সকলে।