মোদীর ভুলের জন্যই অযোধ্যায় ভরাডুবি হল বিজেপির, বিরাট দাবী পুরীর শঙ্করাচার্যের

Published on:

Ayodhya Puri Shankracharya

লোকসভার ভোট গণনা নিয়ে নানা জনে নানা রকম কথা বলছেন। কিন্তু এবার পুরীর শঙ্করাচার্য যা বললেন তা শুনে রীতিমতো সকলেই তাজ্জব হয়ে গিয়েছেন। তিনি জানালেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অযোধ্যায় রাম মন্দির বানানো উচিত হয়নি। সেখানকার মানুষ অর্থাৎ অযোধ্যার মানুষ মোদীকে উচিৎ জবাব দিয়েছেন।’ শুনে চমকে গেলেন তো, কিন্তু এটাই সত্যি আর এমনটাই মনে করছেন পুরীর শঙ্করাচার্য।

বিরাট মন্তব্য শঙ্করাচার্যের

WhatsApp Community Join Now

বর্তমানে তিন দিনের কর্মসূচি নিয়ে বীরভূমের বোলপুরে হাজির হয়েছেন পুরীর শঙ্করাচার্য নিশ্চলানন্দ সরস্বতী। দীক্ষাদান থেকে শুরু করে প্রবচন পুজার্চনার মাঝেই রীতিমতো রাজনৈতিক মন্তব্য করে দেশজুড়ে শোরগোল ফেলে দিলেন। এটা হয়তো অনেকেই জানেন না যে অযোধ্যার রাম মন্দিরের উদ্বোধনে যোগ দেননি এই নিশ্চলানন্দ সরস্বতী। রাম মন্দির উদ্বোধন নিয়ে রীতিমতো তিনি সরকারের বিরুদ্ধে ‘বিদ্রোহ’ ঘোষণা করেছিলেন। এদিকে চলতি বছরের লোকসভা ভোটে অযোধ্যায় এক প্রকার গুহারা হেরেছে বিজেপি আর এই নিয়েই এবার বড় মন্তব্য করেছেন শঙ্করাচার্য। তিনি বললেন, ‘ প্রধানমন্ত্রী ব্রাহ্মণ হলেও রাম মন্দির উদ্বোধন করা উচিত হয়নি। অযোধ্যাবাসী বিজেপিকে সঠিক জবাব দিয়েছে।’

অযোধ্যায় হার বিজেপির

এমনিতে ২৪-এর লোকসভা একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি বিজেপি সরকার গতবারের তুলনায় এইবারে বেশ অনেকটাই ভোট কমেছে বিজেপির বলে জানা গিয়েছে। সেখানে অযোধ্যা রাম মন্দির তৈরি করা নিয়ে দেশজুড়ে এত রকম মাতামাতি হওয়ার পরেও এখানে বিজেপির হেরে যাওয়া রীতিমতো কেউই বিশ্বাস করতে পারছে না। মোদি বিধি মেনে রামমন্দিরের উদ্বোধন করেননি, সে কারণে বিজেপি হেরেছে বলে মত নিশ্চলানন্দ সরস্বতীর।

‘আমার সঙ্গে টক্কর নিয়ে সবাই শেষ হয়েছে’

নিশ্চলানন্দ সরস্বতীর মতে, ‘বিজেপি ভেবেছিল, কংগ্রেসের শাসন এলে রামমন্দির সরিয়ে দেবে। এই আশঙ্কায় তড়িঘড়ি মন্দির উদ্বোধন করে দেওয়া হয়। প্রথমে মোদিজি কংগ্রেসকে দুর্বল মনে করতেন, নির্বাচনের পর এখন আর তা করবেন না। পশ্চিমবঙ্গে জ্যোতি বসু আমার সঙ্গে টক্কর নিয়েছিলেন, শেষ হয়ে গিয়েছেন। লালুপ্রসাদ যাদব, মুলায়ম সিং যাদব টক্কর নিয়েছিলেন, সবাই শেষ হয়ে গিয়েছেন। মোদিজির উচিত, আমার সঙ্গে টক্কর না নেওয়া। আকাশকে কি ঘুষি মারা যায়। আমরা সেই জায়গায় আছি। যোগী আদিত্যনাথ আমাকে ছোট করার জন্য একটা আতঙ্কবাদীকে শঙ্করাচার্য বানিয়ে ঘোরাচ্ছিলেন। কিন্তু মনে রাখবেন, আমার সঙ্গে যিনি টক্কর নেবেন, তিনিই চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যাবেন।’

সঙ্গে থাকুন ➥