প্রীতি পোদ্দার, নয়া দিল্লি: গোটা দেশ সহ রাজ্যে একের পর এক পথ দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। খবরের কাগজ খুললেই দুর্ঘটনা সম্পর্কিত খবর থাকবেই থাকবে। এমনকি হাইওয়েতে দুর্ঘটনা ঘটে চলেছে একাধিক। এর অন্যতম মূল কারণ হল বেশি গতিতে গাড়ি চালানো। এছাড়াও এক লেনের গাড়ি অন্য লেনে বেপরোয়া ভাবে ঢুকিয়ে দেওয়া। তাই এবার জাতীয় সড়কে (Indian National Highway System) দুর্ঘটনা এড়াতে নয়া নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্রীয় পরিবহন মন্ত্রক। নতুন বছর থেকেই সেই নিয়ম চালু হবে বলে জানা গিয়েছে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের নয়া নির্দেশিকা
সড়ক ভ্রমণের সময় লোকেরা প্রায়শই গতিসীমা, প্রস্থান পথ এবং দিকনির্দেশের মতো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উপেক্ষা করে। তাই এবার কেন্দ্রীয় সড়ক মন্ত্রক নির্দেশিকায় স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে এক্সপ্রেসওয়ে এবং জাতীয় সড়কে প্রতি ১০ কিলোমিটারে গতিসীমা সাইন বোর্ড লাগাতে হবে। এতে চালক জানতে পারবেন কত গতিতে গাড়ি চালাতে পারবেন। এবং সাইন বোর্ড ফুটপাতে লাগানো হবে। এতে গাড়ির লোগোও থাকবে।
আশা করা যাচ্ছে যে যদি প্রতি ১০ কিলোমিটার অন্তর এরকম গতি নিয়ন্ত্রণ চিহ্ন থাকে তাহলে কিছুটা হলেও দুর্ঘটনার সংখ্যা অনেকটাই কমবে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের এই ধরণের পদক্ষেপ চালকদের কাছে বেশ উল্লেখযোগ্য বলে মনে করা হচ্ছে। আগামী বছর ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে এই নিয়ম কার্যকর করা হবে৷
প্রতি ৫ কিমিতে লাগানো হবে হেল্পলাইন নম্বরের বোর্ড
শুধু তাই নয় নয়া নির্দেশিকায় এও জানানো হয়েছে যে প্রতি ৫ কিলোমিটার অন্তর ‘নো পার্কিং’ চিহ্ন এবং ‘এমার্জেন্সি হেল্পলাইন নম্বর’ ও টাঙিয়ে রাখা হবে। এমনকি প্রতি ৫ কিমি-তে জরুরি হেল্পলাইন নম্বরের বোর্ড লাগাতে হবে। কখনও যদি ঐ সড়ক পথে কোনো দুর্ঘটনা ঘটে সঙ্গে সঙ্গে সেই হেল্প লাইনের মাধ্যমে যোগাযোগ করা যাবে। এবং যথাযথ সাহায্য পাওয়া যাবে। ভারতে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতি বছর দেড় লক্ষেরও বেশি মানুষের প্রাণ যায়। পাশাপাশি লক্ষ লক্ষ মানুষ গুরুতর আহত হয়। দুর্ঘটনার সাজা অনেক মানুষকে মৃত্যু পর্যন্ত যন্ত্রণা দিয়ে যায়। সড়ক দুর্ঘটনায় ২০১৮ সালে ১৫৭৫৯৩, ২০১৯ সালে ১৫৮৯৮৪, ২০২০ সালে ১৩৮৩৮৩, ২০২১ সালে ১৫৩৯৭২ এবং ২০২২ সালে ১৬৮৪৯১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আশা করা এই পদক্ষেপ দুর্ঘটনা কমাতে যথেষ্ট সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে।