গতি ৬০০০ কিমি, রেঞ্জ ৯৩২ মাইল! ভয়ানক হাইপারসনিক মিসাইল রুদ্রম-৪ বানাচ্ছে DRDO

Published on:

Rudram-4

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: ভারতের প্রতিরক্ষা খাতে নয়া মুকুট! অপারেশন সিঁদুরের পর থেকেই আকাশ বা মাটি, প্রতিটি স্তরেই প্রযুক্তির উন্নতি করছে দিল্লি। আর সেই তালিকায় আবারো আলোচিত নাম হাইপারসনিক মিসাইল রুদ্রম-4 (Rudram-4)। জানা গিয়েছে, DRDO এর তৈরি এই মিসাইল গতি, ক্ষমতা ও ধ্বংসাত্মক শক্তিতে ইতিহাস লিখে ফেলেছে।

প্রতি ঘন্টায় গতি 6000 কিলোমিটার!

জানা গিয়েছে, রুদ্রম-4 এর গতি হবে ম্যাক-5 এর থেকেও বেশি, অর্থাৎ প্রায় 6000 কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা। আর এত ভয়ংকর গতিতে ছুটে আসা মিসাইলকে শত্রুর রাডার বা এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম দিয়ে আটকানো কার্যত কল্পনাও করা যায় না। বিশেষজ্ঞরা বলছে, এই মিসাইল লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার আগে মাত্র কয়েক সেকেন্ড সময় দেবে শত্রুকে প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য।

এমনকি এই মিসাইলের পাল্লা থাকবে 1000 থেকে 1500 কিলোমিটার পর্যন্ত। এর ফলে পাকিস্তানের প্রায় অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি এর আওতায় চলে আসবে। শুধু তাই নয়, শত্রুর রাডার থেকে শুরু করে বাঙ্কার, যোগাযোগ কেন্দ্র, সবকিছুতেই একেবারে নিখুঁতভাবে আঘাত হানবে এই সংস্করণ।

ইন্ডিয়াহুডের বিশেষ প্রতিবেদন

এর প্রযুক্তি কেমন হবে?

ডিআরডিও-এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, রুদ্রম-4-এ মূলত হাইব্রিড প্রপালশন সিস্টেম দেওয়া থাকবে। শুরুতে সলিড রকেট বুস্টার মিসাইলকে আকাশে তুলবে। তারপর স্ক্র্যামজেট বা র‍্যামজেট ইঞ্জিন সেটিকে অনেকটা দূরত্বে হাইপারসনিক গতিতে উঠতে সাহায্য করবে। পাশাপাশি এতে নেভিগেশনের জন্য থাকবে INS, GPS আপডেট এবং ফাইনাল স্টেজে ইনফ্রারেড সিকারের মতো প্রযুক্তি। ফলে ঘন ইলেকট্রিক জ্যামিংয়ের মধ্যেই এটি একেবারে নিখুঁতভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারবে।

কোন কোন যুদ্ধবিমানে মোতায়েন করা হবে?

প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমানে রুদ্রম-4-কে মোতায়েন করার পরিকল্পনা হচ্ছে শুধুমাত্র সুখোই-30 MKI-এ । তবে এর পাশাপাশি মিরাজ-2000 এবং রাফাল যুদ্ধবিমানগুলিতে এটিকে মোতায়েন করার পরিকল্পনা চলছে। তুলনামূলকভাবে হালকা হওয়ায় এক-একটা বিমান একাধিক রুদ্রম-4 বহন করতে পারবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ 15,000mAh ব্যাটারি, এক চার্জে চলবে ৪ দিন! চমক দেওয়া ফোন নিয়ে এল Realme

প্রসঙ্গত, এটি রুদ্রম-3 এর পরবর্তী সংস্করণ। তাই শুধুমাত্র অ্যান্টি রেডিয়েশন অস্ত্র নয়, বরং রুদ্রম-4 ভারতের জন্য হতে পারে সামরিক খাতে মূল ভরসার নাম। ব্রহ্মোস ও ভবিষ্যতের ব্রহ্মোস-2 এর সঙ্গে মিলিত হয়ে এর আক্রমণ ক্ষমতা আরও বাড়বে। এমনকি চীনের S-400 ডিফেন্স সিস্টেমকে টক্কর দেওয়ার জন্য এই অস্ত্রকে ভারত নির্ভরযোগ্য পাল্টা উত্তর হিসেবেই দেখছে। শুধু দেখার ভবিষ্যতে কী হয়।

গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্যJoin Group
চাকরির খবরের জন্যJoin Hood Jobs
রাশিফলের জন্যJoin Hood Rashifal
খেলার খবরের জন্যJoin Whatsapp
সঙ্গে থাকুন ➥