নয়া দিল্লিঃ বর্তমান সময়ে ভারতে মেয়েদের উন্নতি ও বিকাশের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার থেকে রাজ্য সরকার নানারকম প্রকল্প চালাচ্ছে। এই প্রকল্পগুলি চালানোর লক্ষ্যই হল আর্থিক সাহায্য করার পাশাপাশি মেয়েদের স্বাবলম্বীও করে তোলা । ভারতে এখনো এমন বহু পরিবার রয়েছে যেখানে মেয়েদের বিয়ে তো দূরের কথা, ভালো করার পড়াশোনাও করাতে পারেন না। তবে আর চিন্তা নেই, কারণ রাজ্য সরকারের তরফে এবার এমন এক প্রকল্প আনা ধরফে যার দরুন মেয়ের পড়াশোনা ও বিয়ের খরচ দেবে সরকার। তাও কিনা আবার ২ লক্ষ টাকা! কী শুনে চমকে গেলেন তো? কিন্তু এটাই একদম সত্যি।
সরকারের এক জনদরদী প্রকল্পের দরুন মেয়েদের লেখাপড়া ও বিয়ের বোঝাও কমে যাবে অভিভাবকদের মাথার ওপর। আজ যে প্রকল্পের কথা হচ্ছে সেটার নাম হল ‘ভাগ্য লক্ষ্মী যোজনা’। এই প্রকল্পের আবেদন করার পরে, আপনার মেয়ে ২ লক্ষ টাকা পেয়ে যেতে পারে।
স্কিমে টাকা দেওয়া হয় কীভাবে?
এই প্রকল্পের আওতায় কন্যা সন্তানের জন্মের সময় ৫০ হাজার টাকার বন্ড দেওয়া হয় সরকারের তরফে । এরপর মেয়ের বয়স ২১ হলে এই বন্ড ২ লক্ষ টাকায় পরিণত হবে। এছাড়াও মেয়ের মাকে ৫১০০ টাকা আর্থিক সহায়তাও করা হয়। শুধু তাই নয়, পড়াশোনার জন্য সরকার মেয়েদের ২৩ হাজার টাকা অবধি আর্থিক সাহায্য করে । এরপর এই আর্থিক সহায়তা কিস্তিতে দেওয়া হয়। যেমন মেয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে উঠলে ৩ হাজার টাকা, অষ্টম শ্রেণির জন্য ৫ হাজার, দশম শ্রেণির জন্য ৭ হাজার টাকা এবং দ্বাদশ শ্রেণির জন্য ৮ হাজার টাকা দেওয়া হয় সরকারের তরফে।
কিভাবে আবেদন করবেন?
১) প্রথমে https://mahilakalyan.up.nic.in/ এই ওয়েবসাইটে যেতে হবে।
২) এরপর ভাগ্য লক্ষ্মী যোজনা ফর্মটি ডাউনলোড করুন এবং একটি প্রিন্টআউট নিজের কাছে রাখুন।
৩) ফর্মটিতে লেখা থাকা সমস্ত বিবরণ পূরণ করুন।
৪) এবার এই ফর্মটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র বা মহিলা ও শিশু কল্যাণ অফিসে জমা দিন।
ভেরিফিকেশনের পর আপনি প্রকল্পের সুবিধা পেতে শুরু করবেন।
কারা কারা এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারবেন?
১) আপনাদের জানিয়ে রাখি, এই ভাগ্যলক্ষ্মী প্রকল্প চালাচ্ছে উত্তরপ্রদেশ সরকার।
২) আবেদনকারীকে অবশ্যই উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা হতে হবে। সর্বোপরি ২০০৬ সালের ৩১ মার্চের পর দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী পরিবারে জন্ম হওয়া মেয়েরা এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন।
৩) আবেদনকারীর পরিবারের বার্ষিক আয় ২ লক্ষ টাকার বেশি হওয়া উচিৎ নয়।
৪) অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে জন্মের এক বছরের মধ্যে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
৫) প্রতিটি পরিবার থেকে দুটি করে মেয়ে এই প্রকল্পের জন্য আবেদন জানাতে পারবে।
৬) ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে মেয়ের আধার কার্ড লিঙ্ক করা উচিত নয়।