প্রীতি পোদ্দার, নয়া দিল্লি: যে কোনও গুরুত্বপূর্ণ কাজের ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয় আধার কার্ডের। তাই সকলেই রেশন কার্ড, প্যান কার্ডের মতই দেশের নাগরিকদের পরিচয়পত্র হিসেবে আধার নম্বরকেও মানে। অর্থাৎ এককথায় বলা যায় সরকারি সব প্রকল্পের সুবিধা নিতে বেশ কাজে লাগে এই কার্ড। তবে এবার এই আধার কার্ডকে নিয়ে বড় আপডেট সামনে তুলে ধরল সুপ্রিম কোর্ট।
UIDAI-র নির্দেশিকা
এর আগে এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন বা EPFO ঘোষণা করেছিল যে জন্ম তারিখের প্রমাণপত্র হিসেবে আর গৃহীত হবে না আধার কার্ড। কারণ আধার কর্তৃপক্ষ ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার UIDAI একটি নির্দেশিকায় ঘোষণা করে যে, আধার কার্ডকে জন্মতারিখের প্রমাণপত্র হিসেবে বিবেচনা করছিলেন উপভোক্তাদের একাংশ। যার ফলে আধার কার্ডকে কোনও ব্যক্তির পরিচয়পত্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কিন্তু ২০১৬ সালের আধার আইন অনুযায়ী, আধার কার্ডকে জন্মতারিখের প্রমাণপত্র হিসেবে বিবেচনা করা যায় না। তাই এই নির্দেশিকার ভিত্তিতে এই পদক্ষেপ নিয়েছিল EPFO। এবার সেই নিয়ে মুখ খুলল সুপ্রিম কোর্ট।
জন্মতারিখের প্রমাণপত্র হিসেবে আধারকে অগ্রাহ্য সুপ্রিম কোর্টের!
গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় করোল এবং ঊজ্জ্বল ভুঁইয়ার রায় দিয়েছে যে আধার কার্ড জন্মতারিখের ক্ষেত্রে কোনো প্রমাণপত্র হতে পারে না। আসলে মোটর অ্যাক্সিডেন্ট ক্লেম ট্রাইবুনালের একটি মামলায় জন্মতারিখের প্রমাণপত্র হিসেবে আধার কার্ডকে বৈধতা দিয়েছিল মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট। এবং সেই মামলায় ক্ষতিপূরণের অঙ্ক ১৯ লক্ষ ৩৫ হাজার ৪০০ টাকা থেকে কমিয়ে ৯ লক্ষ ২২ হাজার ৩৩৬ টাকা করে হাইকোর্ট। আধার কার্ডে উল্লেখিত বয়স অনুযায়ী মৃত ব্যক্তির বয়স ৪৭ বলে সিলমোহর দেয় নিম্ন আদালত। আর তাই হাইকোর্টের সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন মৃতের পরিবার।
আরও পড়ুনঃ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেনে নিয়োগ সঞ্জীব খান্নার, শপথ নিচ্ছেন কবে?
কিন্তু হাইকোর্টের সেই সিদ্ধান্তে সায় দিল না দেশের সর্বোচ্চ আদালত। দুর্ঘটনায় মৃতদের বয়স যাচাই করার ক্ষেত্রে আধার কার্ডের চেয়ে স্কুলের শংসাপত্রকে ভরসা করার কথা জানালেন বিচারপতিরা। উল্লেখ করা হল ২০১৫ সালের জুভেনাইল জাস্টিস আইনের ৯৪ নং ধারা। এছাড়াও পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যুতে ন্যূনতম ক্ষতিপূরণ হয়ে থাকে ৫০ হাজার টাকা। কিন্তু শরীরের কোনো অঙ্গ বাদ গেলে ন্যূনতম ক্ষতিপূরণ থাকে ২৫ হাজার টাকা। তবে সংসারে মৃত ব্যক্তির কী যোগদান ছিল, বয়স, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ, এসবের ওপর ক্ষতিপূরণের অঙ্ক ঠিক হয়। আর অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আদালতের নির্দেশের ৩০ দিনের মধ্যে ক্ষতিপূরণের অঙ্ক জমা করতে হয়।