শ্বেতা মিত্র, কলকাতা: লটারি নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court Over Lottery)। নাকচ করে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের অভিযোগ। সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের ফলে খুশি হবেন লটারি ডিস্ট্রিবিউটররা।
লটারি নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল সুপ্রিম কোর্ট
সুপ্রিম কোর্ট একটি মামলার শুনানিতে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, লটারির প্রচারের ওপর কোনো সার্ভিস ট্যাক্স চাপিয়ে দিতে পারবে না কেন্দ্রীয় সরকার এবং সরকারের অধীনস্থ রাজস্ব বিভাগ। অর্থাৎ, লটারি ডিস্ট্রিবিউটরদের এবার থেকে আলাদা করে কোনো সার্ভিস ট্যাক্স দিতে হবে না।
মামলা চলছে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিভি নাগারত্ন এবং এনকে সিং-এর বেঞ্চে। শুনানি চলাকালীন বিচারপতি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, কেন্দ্র সরকার যে দাবি বা অভিযোগ জানাচ্ছে, সেটার কোনো ভিত্তি নেই। শুনানি চলাকালীন সিকিম উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্তকে প্রত্যাহার করে নতুন রায় শুনিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
কী বলছে সর্বোচ্চ আদালত
“১৯৯৪ সালের অর্থ আইনে লটারি টিকিটের ডিস্ট্রিবিউটর এবং ক্রেতার উপর প্রত্যেক ক্ষেত্রে সার্ভিস ট্যাক্স আরোপের নির্দেশ আরোপের জন্য সংশোধনী আনা হয়েছিল, তা ব্যর্থ হয়েছে”, মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির। বিচারপতি নাগারত্ন আরও বলেছেন, “যেহেতু সিকিম সরকারের এজেন্ট বা এজেন্সি হিসেবে ডিস্ট্রিবিউটররা কোনো পরিষেবা বিশেষভাবে দেন না, তাই সার্ভিস ট্যাক্স চাপানো অর্থহীন এবং অযৌক্তিক… তবে রাজ্য সরকারের চাপানো গ্যাম্বলিং ট্যাক্স তাদের দিতে হবে। অর্থ আইনের এন্ট্রি ৬২ অনুযায়ী এই কর তাদের দিতে হবে রাজ্য সরকারকে।”
আরও পড়ুনঃ নবান্নে দাদা, দিদির বৈঠক! অবশেষে মুখ খুললেন শালবনিতে ১ টাকায় জমি পাওয়া নিয়ে
বেঞ্চ জানিয়েছে যে লটারি টিকিট ক্রেতা এবং লটারি ফার্মের মধ্যে লেনদেনের উপর পরিষেবা কর প্রযোজ্য নয়। উপরোক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে, আমরা ভারত ইউনিয়ন এবং অন্যান্যদের দ্বারা দায়ের করা আপিলগুলিতে কোনও যুক্তি খুঁজে পাই না। অতএব, এই আপিলগুলি খারিজ করা হল। সিকিম হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত বহাল রেখে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে যে লটারির উপর কর আরোপ করতে পারে কেবল রাজ্য সরকার, কেন্দ্র নয়। কেন্দ্র যুক্তি দিয়েছিল যে পরিষেবা কর আরোপের অধিকার তাদের রয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে যে হাইকোর্ট ঠিকই বলেছে যে লটারি বাজি এবং জুয়ার শ্রেণীর অধীনে পড়ে, যা সংবিধানের রাজ্য তালিকার এন্ট্রি ৬২ এর অংশ এবং শুধুমাত্র রাজ্যই এর উপর কর আরোপ করতে পারে।