৮০০ কোটির আর্থিক দুর্নীতিতে নাম জড়াল টাটা গ্রুপের! তদন্তে একাধিক তথ্য ফাঁস CBI-র

Published on:

Tata Group implicated in Rs 800 crore financial corruption case

বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত TATA গোষ্ঠী (Tata Group)! শোনা যাচ্ছে, 800 কোটির আর্থিক তছরুপের কারণে জওহরলাল নেহেরু পোর্ট অথরিটির এক কর্তার বিরুদ্ধে উঠেছে বড়সড় অভিযোগ।

গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন Join Now

আর সেই পথ ধরেই এবার ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা CBI। সূত্রের খবর, এবার সেই মামলাতেই না চাইতেও জড়িয়ে পড়ল TATA গ্রুপের প্রজেক্ট ডিরেক্টর সহ আরও বেশ কয়েকজন নামকরা কর্তা ও আধিকারিক। ইতিমধ্যেই তাঁদের সকলের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।

কোন বন্দরের প্রকল্প নিয়ে উঠল অভিযোগ?

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুম্বইয়ের জনপ্রিয় বন্দর নহভা শোভা পোর্টের ড্রেজিং প্রকল্পে আর্থিক তছরূপের অভিযোগ উঠেছে। জানা যাচ্ছে, ওই বন্দর সংস্কারের জন্য যে অর্থ বরাদ্দ হয়েছিল তা নিয়েই অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এবার সেই মামলাতেই নাম জড়িয়েছে জওহরলাল নেহেরু বন্দরের টাটা কনসালটেন্সি ইঞ্জিনিয়ার্সের এক কর্তা সহ বেশ কয়েকজন আধিকারিকের।

বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে Join Now

এছাড়াও অভিযোগের তালিকায় নাম রয়েছে পোর্ট অথরিটির ইঞ্জিনিয়রদেরও। রিপোর্ট অনুযায়ী, রতন টাটার সংস্থার কর্মকর্তা ও আধিকারিক সহ ওই বন্দরের ইঞ্জিনিয়ারদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই দায়ের হয়েছে মামলা। জানা গিয়েছে, আর্থিক তছরুপের অঙ্কটা একশো, দুইশো নয়, একেবারে 800 কোটি টাকা।

একাধিক নথি সহ ডিজিটাল ডিভাইস বাজেয়াপ্ত করেছে CBI

মুম্বইয়ের ওই বন্দরের প্রকল্পে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ পেতেই তদন্তে নামে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা CBI। বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম সূত্রে যা খবর, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা দিল্লি ও চেন্নাইয়ের মোট 5 জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালান। আর এরপরই CBI কর্তাদের জালে ধরা পরে একাধিক নথি। এছাড়াও অভিযোগ পেয়ে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু ডিজিটাল ডিভাইসও বাজেয়াপ্ত করেছে CBI।

অবশ্যই পড়ুন: হিরো থেকে ভিলেন! যশস্বীর এই এক ভুলেই বিপাকে টিম ইন্ডিয়া

মামলার সাথে কীভাবে জড়িয়ে TATA গোষ্ঠী?

জানিয়ে রাখি, 800 কোটির আর্থিক তছরুপের মামলায় সরাসরি না হলেও পরোক্ষভাবে যুক্ত রয়েছে রতন টাটার সংস্থার নাম। জানা যায়, ওই বন্দরের ড্রেজিংয়ের দায়িত্ব পেয়েছিল মুম্বই ও চেন্নাইয়ের ড্রেজিং ফার্ম। মূলত সেই কাজের জন্যই পরামর্শ দিয়েছিল টাটা কনসাল্টিং ইঞ্জিনিয়ার্স। তাছাড়াও নাকি ক্যাপিটাল ড্রেজিং প্রকল্পের আওতায় ওই বন্দরের ড্রেজিংয়ের জন্য একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছিল TATA-র মালিকানাধীন সংস্থা। মূলত সেই সব কারণেই এবার আর্থিক তছরুপের দায়ে নাম জড়াল স্বচ্ছ ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত রতন টাটার সংস্থার।

গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্যJoin Group
চাকরির খবরের জন্যJoin Hood Jobs
রাশিফলের জন্যJoin Hood Rashifal
খেলার খবরের জন্যJoin Whatsapp
সঙ্গে থাকুন ➥
Join Group