প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: শিক্ষাগত পেশায় এবার টেট পরীক্ষা নিয়ে বড় আপডেট দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)! শুধু তাই নয় কর্মরত শিক্ষকদের যোগ্যতা নিয়েও এক বড় রায় দিল শীর্ষ আদালত। স্কুলের প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষক নিয়োগের জন্য কয়েকটি ন্যূনতম শর্ত তৈরি করেছিল ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশন বা NCTE। আর তারপরেই চালু করা হয়েছিল টেট পরীক্ষা। যদিও এইমুহুর্তে পশ্চিমবঙ্গে টেট পরীক্ষা নিয়ে উঠে এসেছে একাধিক দুর্নীতিমূলক অভিযোগ। আর এবার সেই TET নিয়েই বাধ্যবাধকতা জারি করল সুপ্রিম কোর্ট।
টেট উত্তীর্ণ হওয়া বাধ্যতামূলক!
ইতিমধ্যেই স্কুল সার্ভিস কমিশনের ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলাকে ঘিরে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। তার ওপর কিছুদিন আগে SSC অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করার পর পরিস্থিতি আরও সংকটে, তার উপর প্রাথমিক টেট পরীক্ষায় ৩২ হাজার চাকরিপ্রার্থীর মামলাও ঝুলে। এমতাবস্থায় শিক্ষকতায় পদোন্নতি বা চাকরি চালিয়ে যাওয়ার জন্য টেট উত্তীর্ণ হওয়া বাধ্যতামূলক করতে হবে বলে এমনই নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। তবে এই রায় পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে কার্যকর হচ্ছে না, এই রায় শুধুমাত্র মহারাষ্ট্রের জন্য প্রযোজ্য হতে চলেছে। আসলে এই মামলাটির সূত্রপাত হয়েছিল মহারাষ্ট্রের “অঞ্জুমান ইসাত ই তালিম ট্রাস্ট বনাম মহারাষ্ট্র সরকার” নামক একটি মামলা থেকে। আর তাতেই এবার বড় রায় দিল শীর্ষ আদালত।
কাদের জন্য এই রায় কার্যকর হবে?
রিপোর্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি শীর্ষ আদালতের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত ও বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মাসিহের ডিভিশন বেঞ্চে মহারাষ্ট্রের সেই মামলায় প্রশ্ন তোলা হয় যে, টেট পরীক্ষা বাধ্যতামূলক কিনা। সেই বিষয়ে বিচারপতিরা জানিয়ে দেন যে, যে সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরির মেয়াদ এখনও ৫ বছরের বেশি রয়েছে এবং RTE আইন কার্যকর হওয়ার আগে নিযুক্ত হয়ে থাকে, তাহলে তাদের আগামী দুই বছরের মধ্যে TET পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। যদি এই সময়ের মধ্যে কেউ যোগ্যতা অর্জন করতে অপারগ থাকে, তাহলে তাদের চাকরি নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হবে। অন্যদিকে যাদের চাকরির মেয়াদ ৫ বছরের কম, তাঁদের আর নতুন করে TET পরীক্ষায় বসার প্রয়োজন নেই। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সংখ্যালঘু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির ক্ষেত্রে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: পিষে দিত মনোজ বর্মার গাড়ি? প্রকাশ্যে মহাকরণের সামনে সেনার ট্রাকের গতিবিধির সিসিটিভি
উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গেও অনেক আগে থেকেই প্রাথমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে টেট পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ করা হয়। যদিও পরীক্ষার পর দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগ প্রক্রিয়া না এগোনো এবং দুর্নীতির অভিযোগে একাধিকবার বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। এমনকি মামলাও গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্টে, সেক্ষেত্রে টেট নিয়ে আদালতের এরূপ বড় সিদ্ধান্তে অবাক সকলেই। সবশেষে বলা যায়, সুপ্রিম কোর্টের এই রায় শিক্ষা ব্যবস্থায় যোগ্যতার মানকে এক অন্য জায়গায় নিয়ে যাবে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |