এ কি কাণ্ড! লিখতে পড়তে যানে না, অথচ মাধ্যমিকে ৯৯.৫ শতাংশ নম্বর, শুরু হল মামলা 

Published on:

Madhyamik Result

পড়াশোনা জানেন না, অথচ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৯৯.৫ শতাংশ নম্বর এনে এক সময়ে সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন ব্যক্তি। শুধু কি তাই! মানুষ ভালো করে পড়াশোনা করে সারাজীবন একটা ভালো চাকরির জন্য কঠোর পরিশ্রম করে যান। সেখানে রাজ্যের এক ব্যক্তি লিখতে বা পড়তে অবধি জানেন না, অথচ তিনি ৯৯.৫% নম্বর নিয়ে পিয়নের চাকরি অবধি করছেন বছরের পর বছর ধরে। প্রকাশ্যে এহেন ঘটনা আসায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

লেখাপড়া না জেনেও মাধ্যমিকে ৯৯.৫% নম্বর

WhatsApp Community Join Now

আজ কথা যে ‘গুণধর’ ব্যক্তিকে নিয়ে কথা হচ্ছে, তাঁর নাম হল প্রভু লক্ষ্মীকান্ত লোকারে। কর্ণাটকের বাসিন্দা। বিগত কিছু সময় ধরে ২৩ বছর বয়সী প্রভু লক্ষ্মীকান্ত কর্ণাটকের কোপ্পাল জেলার একটি স্থানীয় আদালতে পিয়নের চাকরি অবধি করছেন। তবে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হল।

অবাক বিচারকরাও

আদালতে পিয়নের চাকরি করে অথচ লেখা বা পড়াও জানে না প্রভু। আর এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই বিচারকরা অবধি অবাক হয়ে গিয়েছেন। পড়তে বা লিখতে পারেন না, তারপরেও কীভাবে হাইস্কুলে এত ভালো ৯৯.৫% স্কোর করলেন প্রভু! এই প্রশ্ন তুলে এক বিচারক লোকেরার অ্যাকাডেমিক রেকর্ড নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। ইতিমধ্যে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে গত ২৬ এপ্রিল এফআইআর দায়ের করা হয়। বিচারক মনে করেন, হাইস্কুলের মার্কশিটের সুবাদে তিনি পিয়নের চাকরি পেলেও তা নিছক জালিয়াতি।

তদন্তে নেমে অবাক পুলিশও

পুলিশ যখন বিষয়টি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করে, তখন দেখা যায় যে প্রভুর মার্কশিট এবং স্কুলের পড়াশোনা সবই সন্দেহজনক। তদন্তে জানা গেছে যে প্রভু রায়চুর জেলার সিন্ধনুর তালুকের বাসিন্দা। তিনি মাত্র সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। স্কুলে গিয়েও সে কিছুই শিখতে পারেনি। এর পর কোর্টে সাফাইকর্মীর কাজ করতে যান। পিয়ন পদের জন্য ২০২৪ সালের ২২ এপ্রিল প্রকাশিত চূড়ান্ত মেধা বাছাই তালিকায় এই নিরক্ষর ব্যক্তি প্রভুর নাম নথিভুক্ত করা হয়েছিল। ইয়াদগিরের জেলা ও দায়রা আদালতে এই পোস্টিং হয়েছিল। সার্টিফিকেট অনুযায়ী এসএসএলসি পরীক্ষায় ৬২৫ নম্বরের মধ্যে ৬২৩ নম্বর পেয়েছে সে।

বিচারক বলেন, ওই পিয়ন কন্নড়, হিন্দি ও ইংরেজি পড়তে বা লিখতে পারেন না। ঝাড়ুদার থেকে পিয়ন হয়ে গেলেও এর পেছনে রয়েছে বড় ধরনের প্রতারণা। এ ধরনের ভুয়ো ডিগ্রির কারণে যাদের সত্যিকারের চাকরি প্রয়োজন হয় তাঁরা পিছনেই থেকে যান।

২০১৭-১৮ সালে বাগালকোট জেলার বানহাট্টির একটি প্রতিষ্ঠানে প্রাইভেট পরীক্ষার্থী হিসেবে দশম শ্রেণির পরীক্ষায় বসেছিল সে।

সঙ্গে থাকুন ➥