বাজবে চিনের ঘণ্টা, সরকারের সাথে হাত মিলিয়ে মাঠে নামল টাটা, চমক দেখাবে ভারত

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: বেজিং-র এক সিদ্ধান্তই মুখ থুবড়ে পড়েছিল ভারতের গাড়ির বাজার। হ্যাঁ, চিন গত এপ্রিল মাস থেকে রেয়ার আর্থ ম্যাগনেট রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। আর এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে ভারতের গাড়ি শিল্প থেকে শুরু করে ফ্রিজ, এসি, এমনকি ওয়াশিং মেশিন তৈরির সংস্থাগুলিতেও।

আর এই সংকটের মধ্যে পড়ে ভারতের অন্যতম বড় গাড়ি নির্মাতা সংস্থা টাটা মোটরস (Tata Motors) সরকারের পাশে এসে দাঁড়াল। সংস্থার চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরন জানিয়েছেন, আমরা সরকারের সঙ্গে কাজ করছি। আর বিকল্প উৎস থেকে এই ম্যাগনেট সংগ্রহ করার উপায় খুঁজছি। 

চিনের সিদ্ধান্তে বিপাকে ভারত

বলে রাখি, চিন বিশ্বজুড়ে সবথেকে বেশি রেয়ার আর্থ ম্যাগনেট উৎপাদন করে। আর এই ম্যাগনেটগুলি ছাড়া ইলেকট্রিক গাড়ি, মোটর বা সেন্সর, এমনকি স্মার্টফোন তৈরি করা কার্যত অসম্ভব। আর সেই রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করায় ম্যাগনেটের আকাল দেখা দিয়েছিল ভারতের গাড়ি ইন্ডাস্ট্রিতে। এমনকি অনেক সংস্থা চিনের অনুমোদন পাওয়ার জন্য সরকারের কাছে সাহায্যও চেয়েছে। 

সরকারের পাশে এসে দাঁড়াল টাটা মোটরস

তবে এই ভয়াবহ সংকটের মুখে টাটা মোটরসের চেয়ারম্যান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, এই মুহূর্তে আমরা ঠিকই রয়েছি। আমরা প্রয়োজনীয় ম্যাগনেট সংগ্রহ করতে পারছি। এমনকি পর্যাপ্ত ইনভেন্টরি মজুদ রাখার পরিকল্পনা করছি। আর ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে আমরা সরকারের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করব। এমনকি বিকল্প উৎস খোঁজারও চেষ্টা করব।

আরও পড়ুনঃ লাভ ১১,০০,০০,০০,০০,০০ কোটি! ট্রাম্পের যুদ্ধ বিরতি ঘোষণায় ফুলেফেঁপে উঠলেন আদানি

একজন শেয়ারহোল্ডারের প্রশ্নের উত্তরে চন্দ্রশেখরন জানিয়েছিলেন, ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধের জেরে বিশ্ব বাজারের পরিস্থিতি ঠিক কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, তা বলা এখনই মুশকিল। তবে তিনি আশ্বস্ত করে বলেছেন, টাটা মোটরসের তিনটি সংস্থা কমার্শিয়াল ভেহিকেল, প্যাসেঞ্জার ভেহিকেল এবং JLR এই পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য সরকারের পাশে দাঁড়াবে।

এমনকি বেশ কিছু সূত্র বলছে, আন্তর্জাতিক বাজারে প্যাসেঞ্জার ভেহিকেল নিয়ে যাওয়ার ভাবনাও রয়েছে। পাশাপাশি এ বছরের শেষ ত্রৈমাসিকে টাটা মোটরসের ডিমার্জার সম্পন্ন হবে বলে খবর। এমনকি প্রথমে প্যাসেঞ্জার ভেহিকল এবং পরে কমার্শিয়াল ভেহিকল পৃথক তালিকাভুক্ত হবে। এখন দেখার ভবিষ্যতে কী হয়…