শ্বেতা মিত্রঃ ন্যায্য মহার্ঘ ভাতা (Dearness allowance) পাওনার দাবিতে রাজ্যের বিরুদ্ধে লাগাতার আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন তামিলনাড়ুর সরকারী বাস পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা। ২০১৮ সালের অক্টোবর মাস থেকে শুনানির পর শুনানি চলেছে। সুরাহা এখনও মেলেনি। সমস্যার সমাধান কবে পাওয়া যাবে সেটাও অজানা।
কেন চলছে টানা আইনি লড়াই?
প্রাপ্য DA না পাওযার প্রতিবাদে আইনি পথ বেছে নিয়েছেন কর্মীরা। ২০১৮ সালে মাদ্রাস হাইকোর্টে অভিযোগ তোলা হয়েছিল। এখন ২০২৪। শুনানির পর শুনানি হওয়ার পরেও অধরা সমাধান সূত্র। বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টেও উঠেছে। সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, এই কয়েক বছর টানা আইনি লড়াই চালানোর ফলে মামলাকারীদের প্রচুর টাকা খরচ করতে হয়েছে। মনে করা হচ্ছে আনুমানিক ৭০ লক্ষ টাকা ইতিমধ্যে খরচ করেছেন মামলাকারীরা।
দাবি, এখনই ডিএ বাড়িয়ে ৫৩% করা উচিৎ। সেখানে ২০১৬ সাল থেকে মাত্র ৫% হারে DA দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। আর যারা সপ্তম পে কমিশন লাগু হওয়ার আগে চাকরি ছেড়েছিলেন তাঁদের ডিএ হওয়া উচিৎ ২৩৯ শতাংশ। আপাতত সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হচ্ছে ১১৯% এমনটাই দাবি মামলাকারীদের। কর্মীদের এই দাবি ইতিমপূর্বে কোর্ট মান্যতা দিয়েছে বলেও দাবি করা হচ্ছে। রাজ্য উচ্চ আদালত ও দেশের সর্বোচ্চ আদালত, দুই দিক থেকেই ডিএ বৃদ্ধি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কাজের কাজ হয়নি। পাল্টা মামলা করেছে তামিলনাড়ু সরকার। মামলার মেয়াদ যত বেড়েছে, পাল্লা দিয়ে বেড়েছে খরচের পরিমাণ।
জলের মতো বেরিয়ে যাচ্ছে টাকা
অর্থের দিক থেকে এই লড়াই অসম বলে মনে করা হচ্ছে। কর্মীদের একাংশের অভিযোগ, মামলার চূড়ান্ত রায় বিলম্বিত করার জন্য সরকারের তরফে বারংবার আপিল করা হয়েছে। অভিযোগকারীদের সংগঠন General Secretary of the Pokkuvarathu Kazhaga Oyvu Petra Azhuvalar Sangam এর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ‘হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে মামলা লড়ার জন্য চালক ও কন্ডাক্টর সহ পেনশনভোগীদের কাছ থেকে চাঁদা সংগ্রহ করে ৭০ লক্ষ টাকা ব্যয় হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে শুনানিতে অংশ নেওয়ার জন্য কর্মীদের ১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ করতে হয়। শুনানির জন্য শুধু অ্যাডভোকেট ফি ১২.৫ লক্ষ টাকা। সুপ্রিম কোর্টে শুনানির জন্য সরকার ৩০ লক্ষ টাকা খরচ করে, সেরা আইনজীবীদের নিয়োগ করে।’