কলকাতাঃ লাক্ষাদ্বীপ হল ভারতের একটি বিখ্যাত দ্বীপপুঞ্জ, যা তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং সমুদ্রের নীল জলের জন্য বিশ্ববিখ্যাত। বিশেষ করে লাক্ষাদ্বীপের নাম ছড়িয়ে পড়ে গত বছর। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির লাক্ষাদ্বীপ ভ্রমণের সময় মলদ্বীপের সঙ্গে বিবাদের সৃষ্টি হয়। লাক্ষাদ্বীপ থেকে বেশ কয়েকটি ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করেন। মোদির সেই ছবিতে ভারতের এই নৈসর্গিক সমুদ্র সৈকত মনে ধরা যায় ভ্রমণপ্রিয় মানুষদের। তারপর থেকেই পর্যটকদের আকর্ষণ করতে ভারত সরকার লাক্ষাদ্বীপের পর্যটন খাতের উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
মোদি সরকারের অধীনে লাক্ষাদ্বীপ পর্যটনে উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। সরকার ইকো-পর্যটনকে প্রাধান্য দিয়ে দ্বীপটির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সংরক্ষণে মনোযোগ দিয়েছে। একইসঙ্গে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা, যেমন নতুন বিমান ও নৌপথ পরিষেবা চালু করা হয়েছে, যা পর্যটকদের সহজে দ্বীপে পৌঁছাতে সহায়তা করে। এছাড়া, স্থানীয় জনসংখ্যাকে পর্যটন খাতে সম্পৃক্ত করতে প্রশিক্ষণ ও উন্নয়নমূলক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। লাক্ষাদ্বীপকে আন্তর্জাতিক পর্যটন মানচিত্রে তুলে ধরতে প্রচারমূলক কার্যক্রমও বৃদ্ধি পেয়েছে, যা দ্বীপটির অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখছে।
লাক্ষাদ্বীপে বাড়ছে বিমান যোগাযোগ
প্রকাশিত সরকার তথ্য অনুযায়ী লাক্ষাদ্বীপে আগত পর্যটকদের সংখ্যা এই বছরের এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে। গত বছরের একই সময়ে ছিল সেখানে পর্যটকের সংখ্যা ছিল ১১,০৭৪। এই বছর এই সংখ্যা ২২,৯০০-তে পৌঁছেছে। সেই কারণে অগাট্টি বিমানবন্দরে সুব্যবস্থার অভাব থাকলেও সেখান থেকে বিমান চলাচলে ৮৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছর যেখান থেকে ৪১৮ টি বিমান চলাচল করত, সেখানে এই বছর বিমানের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৭৮৬।
আগামী দিনে তিনগুন পর্যটক লাক্ষাদ্বীপে যাবেন
ট্রাভেল এজেন্ট ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট অনিল কালসি ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন যে লাক্ষাদ্বীপের বিমানবন্দর আপগ্রেড হয়ে গেলে পর্যটকের সংখ্যা তিনগুণ হতে পারে। তাই পর্যটকদের সুবিধার্থে লাক্ষাদ্বীপে উন্নত মানের হোটেল, রিসোর্ট এবং অন্যান্য বাসস্থান নির্মাণ করা হচ্ছে। এছাড়া, পরিবহন ব্যবস্থা আরও উন্নত করা হয়েছে, যেমন নৌকা ও বিমান পরিষেবা। এছাড়াও লাক্ষাদ্বীপের প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে ইকো-পর্যটন উদ্যোগ গৃহীত হয়েছে। এর মাধ্যমে, পরিবেশবান্ধব পর্যটন ব্যবস্থা গড়ে তোলা হচ্ছে। ভারত সরকার এইসব পদক্ষেপের মাধ্যমে লাক্ষাদ্বীপকে একটি প্রধান পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, যা ভবিষ্যতে দেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারে।