সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: ভারতের বুকে এবার বিরাট সোনার ভান্ডারের (Gold Reserve) হদিশ। জানা যাচ্ছে, রাজস্থানের আদিবাসী অধ্যুষিত বাঁশওয়ারা জেলায় একটি সোনার খনির খোঁজ মিলেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ওই গোটা অঞ্চলে প্রায় ২২২ টন সোনা মজুদ রয়েছে। ফলত, যদি এই বিপুল পরিমাণ সোনা উত্তোলন করা যায়, তাহলে দেশের অর্থনীতিতে যে বিরাট প্রভাব পড়বে তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না।
কোথায় মিলল এই বিপুল পরিমাণ সোনার হদিশ?
রিপোর্ট অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, বাঁশওয়ারা জেলার ঘাটোল অঞ্চলের কাঁকারিয়া গ্রামে এই সোনার খনিটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এমনকি ভূতত্ত্ববিদরা কাঁকারিয়ার প্রায় 3 কিলোমিটার বিস্তৃত অঞ্চলে সম্ভাব্য সোনার আকরিক মজুদের ইঙ্গিত পেয়েছে। পাশাপাশি খনির লাইসেন্স পাওয়ার পরেই খনন শুরু হবে বলে জানানো হয়েছ। উল্লেখ করার বিষয়, বাঁশওয়ারা আর ঘাটোলের জগপুরিয়া এবং ভুকিয়ায় সোনার খনির বিষয়টি আগেই নিশ্চিত করা হয়েছিল।
এমনকি এই সোনার খনি চালু হয়ে গেলে অনুমান করা হচ্ছে, দেশের মোট সোনার চাহিদার প্রায় 25% জোগান এখান থেকেই আসবে। আর ভূতত্ত্ববিদদের অনুমান অনুযায়ী, 940.26 হেক্টর এলাকা জুড়ে বিস্তৃত গোটা এই অঞ্চলে প্রায় 113.5 মিলিয়ন টন সোনার আকরিক মজুদ রয়েছে। আর এই অঞ্চলে মোট সোনার ধাতুর পরিমাণই প্রায় 222.39 টন। এমনকি কাঁকারিয়া-গারা অঞ্চলে 205 হেক্টরের বেশি জমিতে 1.24 মিলিয়ন টন সোনার আকরিক মজুদ রয়েছে বলেও অনুমান করা হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ উচ্চ মাধ্যমিকের সিলেবাসে যুক্ত হচ্ছে নতুন বিষয়, এবার বাচ্চারা শিখবে সিপিআর পদ্ধতি
ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে সোনা উত্তোলন
প্রসঙ্গত, এর আগে রাজস্থান সরকার ভূকিয়া-জগপুরা খনির ব্লকের নিলাম করেছিল। আর সেখানে রতলম ভিত্তিক একটি সংস্থা লাইসেন্স পেয়েছিল। কিন্তু সংস্থাটি জামানত জমা দিতে ব্যর্থ হওয়ার কারণে সরকার সেই দরপত্র বাতিল করে দিয়েছিল। মূলত সরকার এখন এই ব্লকগুলোর জন্য পুনরায় দরপত্র চালু করছে। আর তা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল 14 অক্টোবর এবং এই দরপত্রগুলি আগামী 3 নভেম্বর খোলা হবে। এখন শুধু অপেক্ষা খনির লাইসেন্স পাওয়ার। কারণ, যদি একবার লাইসেন্স মিলে যায়, তাহলে বাঁশওয়ারা জেলায় খনির কাজ শুরু হলে ইলেকট্রনিক্স থেকে শুরু করে পেট্রোলিয়াম, পেট্রোকেমিক্যাল, ব্যাটারি, এয়ার ব্যাগসহ বিভিন্ন শিল্পে নতুন বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি হবে। পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ কর্মসংস্থানে সৃষ্টি হবে।












