আদানি ছাড়া ত্রিপুরার কাছেও বিদ্যুতের বিপুল দেনা বাংলাদেশের! মেটানোর জন্য চাপ সরকারের

Published on:

bangladesh

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: গত কয়েক দিন ধরে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ উঠে আসছে খবরের শিরোনামে। একাধিক সংখ্যালঘু নেতা, সন্ন্যাসীকে গ্রেফতারের ফলে বাংলাদেশের কিছু জায়গায় অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা নিজেদের অস্তিত্ব বজায় রাখতে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ, প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন। বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত সরকারও। আর সে দেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য রীতিমত বিশ্বের বাকি দেশগুলিও কথাও বলছে।

গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন Join Now

আদানি গোষ্ঠীর সঙ্গে বিদ্যুৎ বিভ্রাট ইউনূস সরকারের!

আর এই আবহে আদানিদের (Adani Group) সঙ্গে বিদ্যুৎ নিয়ে সমস্যা চলেই আসছে বাংলাদেশ সরকারের। বিদ্যুতের বকেয়া বিল বাবদ ৮০ কোটি ডলার রয়েছে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার জানায়, দেশে ডলার সঙ্কট সত্ত্বেও তারা আদানি গোষ্ঠীকে ১৫ কোটি ডলার দিয়েছে। এদিকে আদানি গোষ্ঠীর ওপর আর্থিক তছরুপের আরোপ লাগায় ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার এখন আদানি-সহ ছ’টি সংস্থাও সঙ্গে হওয়া বিদ্যুৎচুক্তি খতিয়ে দেখছে। ২০১৭ সালে শেখ হাসিনার আমলে আদানি গোষ্ঠীর ২৫ বছরের বিদ্যুৎচুক্তির বিষয়ে হাই কোর্ট তদন্তের নির্দেশ দেয়। যদিও বাংলাদেশের বিদ্যুৎমন্ত্রী জানিয়েছেন, তারা এখনই চুক্তি বাতিলের পথে হাঁটছে না। আদালতের নির্দেশের পরই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।

এবার বিদ্যুৎ বিল চাইল ত্রিপুরা সরকার

তবে এই সমস্যা শুধুমাত্র আদানি নয়, বিদ্যুৎচুক্তি নিয়ে টালবাহানার মধ্যেই বিদ্যুৎ বিল বাবদ বাংলাদেশ সরকারের কাছে বকেয়া ১৩৫ কোটি টাকা চাইল ত্রিপুরা সরকার। সূত্রের খবর,ত্রিপুরা স্টেট ইলেক্ট্রিসিটি কর্পোরেশন লিমিটেড বা TSECL বিদ্যুৎ সরবরাহ করে থাকে বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভলপমেন্ট বোর্ডকে। কিন্তু বকেয়া ১০০ কোটি ছাড়িয়ে যেতেই বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করেছিল TSECL। চলতি বছরের মে মাসে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই প্রসঙ্গে বিদ্যুৎমন্ত্রী রতন লাল নাথ বলেন, “ ১৩৫ কোটি টাকা বাকি থাকলেও নিয়মিত বকেয়া মিটিয়ে দিচ্ছে বাংলাদেশ। প্রতিটি ইউনিট বিদ্যুতের জন্য আমরা ৬.৬৫ টাকা দাম নিচ্ছি।”

বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে Join Now

সেইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ‘‘আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছি বকেয়া টাকা ফিরিয়ে আনার জন্য। বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষকে এ ব্যাপারে চিঠিও লিখেছি, আমি ব্যক্তিগত ভাবে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করেছি।’’ জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই নাকি ভারতের কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎমন্ত্রীর সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন রতনলাল।

গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্যJoin Group
চাকরির খবরের জন্যJoin Hood Jobs
রাশিফলের জন্যJoin Hood Rashifal
খেলার খবরের জন্যJoin Whatsapp
সঙ্গে থাকুন ➥
X
Join Group