প্রীতি পোদ্দার, নয়া দিল্লি: জনসংখ্যায় চিনকে টপকে গিয়ে বিশ্বে ইতিমধ্যেই প্রথম স্থান দখল করেছে ভারত (Population Of India)। অর্থাৎ ‘বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ’-এর মুকুট এখনও ভারতের মাথাতেই রয়েছে। জানা যাচ্ছে এবারেও নাকি একই রেকর্ড গড়বে ভারত। চলতি বছরের শেষে ভারতের জনসংখ্যা ১৪৬ কোটিতে পৌঁছোবে বলে মনে করছে রাষ্ট্রপুঞ্জের জনসংখ্যা বিষয়ক দফতর।
এবারেও রেকর্ড গড়বে ভারত!
২০১১ সালের পর ভারতে জনশুমারি আর হয়ে ওঠেনি। তবুও রাষ্ট্রপুঞ্জ ২০২৩ সালে জনসংখ্যার নিরিখে একটি পরিসংখ্যান তৈরি করেছিল। আর সেই পরিসংখ্যানে চিনকে সরিয়ে প্রথম স্থান দখল করেছিল ভারত। সেই সময় দেশের জনসংখ্যা ছিল ১৪২ কোটির থেকে সামান্য বেশি। তবে এবার সেই সংখ্যাটায় বড় পরিবর্তন হতে চলেছে।
শুধু চিন নয়, গোটা বিশ্বের নিরিখে এবারেও সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যা হবে ভারতে। একটি রিপোর্ট সূত্রে জানা যাচ্ছে, চলতি বছরের মোট জনসংখ্যায় ০-১৪ বছর বয়সীদের মধ্যে ২৪ শতাংশ, ১০-১৯ বছর বয়সীদের মধ্যে ১৭ শতাংশ এবং ১০-২৪ বছর বয়সীদের মধ্যে ২৬ শতাংশ।
প্রজনন ক্ষমতা হ্রাসের পূর্বাভাস ভারতে!
সম্প্রতি রাষ্ট্রসংঘের পপুলেশন ফান্ডের তরফে ১৪ টি দেশের মোট ১৪ হাজার ব্যক্তির উপর সমীক্ষা চালিয়েছে সংস্থা। তাতেই জানা যাচ্ছে ভারত ২০২৫ সালের শেষে টেক্কা দিতে পারে চিনকে। এছাড়াও সেই সমীক্ষায় ভারতের রেকর্ড জনসংখ্যার পাশাপাশি জন্মহার ও মহিলাদের প্রজনন ক্ষমতা কমে যাওয়ার দিকটি ফুটে উঠেছে।
যদিও এর আগে প্রজনন ক্ষমতা হ্রাসের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে ‘দ্য রিয়্যাল ফার্টিলিটি ক্রাইসিস’ শীর্ষক একটি রিপোর্টে। সেখানে বলা হয়েছিল ভারতীয় মহিলারা এক প্রজন্ম থেকে পরবর্তী প্রজন্মে জনসংখ্যার সামগ্রিক আকার বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনের তুলনায় কম সন্তানের জন্ম দিচ্ছেন।
তালিকায় থাকবে একাধিক দেশ!
সমীক্ষা সূত্রে দেখা গিয়েছে, প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন ব্যক্তি সন্তান নেওয়ার ব্যাপারে তেমন ইচ্ছুক নন। আর এই সিদ্ধান্তের পিছনে কারণ হিসেবে কাজ করছে সামাজিক ও আর্থিক অবস্থা। বলা হয়েছে, মূলত নিম্ম ও মধ্য আয়ের দেশগুলিতে জন্মহার কমে যাচ্ছে অপ্রত্যাশিতভাবে।
আর এই তালিকার মধ্যে পড়ছে দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড, ইতালি, হাঙ্গেরি, জার্মানি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, সুইডেন, ব্রাজিল, মেক্সিকো, মরক্কো, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং নাইজেরিয়াতে। যদিও এই ভবিষ্যৎবাণী অনেক আগেই রাষ্ট্রপুঞ্জ করে রেখেছিল।
আরও পড়ুন: ২০ জুন থেকে ফের ভোগান্তি, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন! তালিকা দিল দক্ষিণ পূর্ব রেল
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে জানিয়েছিল রাষ্ট্রপুঞ্জ জানিয়েছিল যে, পূর্বের সমীক্ষা ক্যালকুলেট করে জন্য গিয়েছিল বিশ্বের জনসংখ্যা ৭০০ কোটি থেকে ৮০০ কোটিতে পৌঁছোতে কমপক্ষে ১২ বছর সময় লেগেছিল। কিন্তু এই সংখ্যাটা ৮০০ থেকে ৯০০ কোটিতে পৌঁছোতে আরও বেশি সময় লাগবে। প্রায় সাড়ে ১৪ বছর। কারণ, গোটা বিশ্বেই জন্মহার কমেছে। অর্থাৎ হিসেব করলে ২০৮০ সালে বিশ্বের জনসংখ্যা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছোবে। জনসংখ্যা হবে এক হাজার কোটির বেশি।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |