শ্বেতা মিত্র, নয়া দিল্লিঃ সামরিক ক্ষেত্রে সম্প্রতি সময়ে প্রভুত উন্নতি লাভ করেছে ভারত। দেশের সামরিক বিভাগকে যেমন আধুনিক হাতিয়ার দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছে, তেমনই সামরিক হাতিয়ার রফতানি করার ব্যাপারেও ভারত এখন এগিয়ে এসেছে। ইতিমধ্যে বেশ কিছু দেশ ভারতের কাছ থেকে সামরিক অস্ত্র কেনার জন্য ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসার পর মেন ইন ইন্ডিয়া প্রকল্পের ওপর জোর দেওয়া শুরু করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। অন্য দেশের ওপর পুরোপুরি নির্ভর না থেকে, ভারত ক্রমেই হয়ে উঠছে আত্মনির্ভর। সম্প্রতি জাতীয় সংবাদ মাধ্যমে উঠে এসেছে চমকপ্রদ কিছু তথ্য।
সামরিক ক্ষেত্রে বিরাট লাফ ভারতের
ভারতের সরকারি ও বেসরকারি কোম্পানিগুলো বিভিন্ন পাল্লার অস্ত্র রফতানি করছে। প্রায় ১০০টি দেশে এসব অস্ত্র রপ্তানি করা হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে বেশ কয়েকটি ডিফেন্স সিস্টেম। যেমন ব্রাহ্মস সুপারসনিক মিসাইল, ডর্নিয়ার ২২৮ এয়ারক্রাফট, আর্টিলারি গান, রাডার, আকাশ মিসাইল, পিনাকা রকেট এবং সশস্ত্র যান। যার মধ্যে বেশিরভাগ সাব-সিস্টেম ও যন্ত্রাংশ কিনে নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে রয়েছে বোয়িং, লকহিড মার্টিনের মতো বিশ্বের বৃহত্তম প্রতিরক্ষা সংস্থার সোর্সিংয়ের মাধ্যমে কেনা জ্বালানী, ডানা, বিমানের অংশ। হায়দরাবাদের টাটা বোয়িং এরোস্পেস ভেঞ্চার হায়দরাবাদে ফুয়েল এজ এবং অ্যাপাচে অ্যাটাক হেলিকপ্টার স্ট্রাকচার তৈরি করছে। ফ্রান্স সফটওয়্যার ও ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশ কিনছে।
অস্ত্র কেনায় এগিয়ে আমেরিকা, ফ্রান্স, আর্মেনিয়া
পূর্বতন সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ থাকা আর্মেনিয়া গত চার বছরে ভারতের সঙ্গে বেশ কয়েকটি প্রতিরক্ষা চুক্তি করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ক্ষেপণাস্ত্র, আর্টিলারি গান, রকেট সিস্টেম, অস্ত্রের অবস্থান রাডার, বুলেট প্রুফ জ্যাকেট, নাইট ভিশনের মতো পণ্য। আরও জানা যাচ্ছে, ভারতের সঙ্গে হাত মিলিয়ে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার উন্নত সংস্করণ তৈরি করতে চায় ব্রাজিল। এই চুক্তিও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের প্রতিরক্ষা রফতানি পৌঁছেছে ২৬০ কোটি ডলার ( প্রায় ২১,০৮৩ কোটি টাকা )। যেখানে এক বছর আগে ২০২২-২৩ সালে ছিল ১৫৯১৮ কোটি টাকা। ২০১৪-১৫ সালে যা ছিল মাত্র ১৯৪১ কোটি টাকা। অর্থাৎ তার পর থেকে প্রায় ১০ গুণ বেড়েছে।