বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: গত আগস্টে বাংলাদেশে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয় এক আমেরিকার নাগরিকের। জানা যায়, টেরেন্স আরভেল জ্যাকসন নামক ওই ব্যক্তি মার্কিন সেনাবাহিনীর প্রথম স্পেশাল ফোর্সেস কমান্ডের কমান্ড ইন্সপেক্টর জেনারেলের উচ্চপদে ছিলেন (US Soldier Mysterious Death)। তবে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয়, এই ব্যক্তিকেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে হত্যার জন্য পাঠানো হয়েছিল বলে দাবি। এদিক, ঢাকার বিলাসবহুল হোটেলে তাঁর আকস্মিক মৃত্যুতে একাধিক ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব উঠে আসছে নেট দুনিয়ায়। যা ক্রমশ রহস্যের জন্ম দিচ্ছে।
নরেন্দ্র মোদিকে হত্যা করতে এসে মৃত্যু জ্যাকসনের!
একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী, সরকারবিরোধী প্রচার, উত্তেজনা বৃদ্ধি, বিভিন্ন দেশের প্রতিষ্ঠিত সরকারের বিরুদ্ধে জনগণের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি করার জন্য পরিচিত আমেরিকার কুখ্যাত গোয়েন্দা সংস্থা সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি। ভারতীয় গোয়েন্দাদের অনুমান, আমেরিকার এই সংস্থাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে হত্যার জন্য মার্কিন সেনার উচ্চপদস্থ অফিসার জ্যাকসনকে পাঠিয়েছিল। তবে চলতি বছরের 31 আগস্ট ঢাকার এক বিলাসবহুল হোটেলের 808 নম্বর কক্ষে জ্যাকসনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তাঁর মৃত্যুর পরই ক্রমশ ঘনাচ্ছে রহস্য।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরপাক খাওয়া বেশ কয়েকটি পোস্ট অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী মোদিকে হত্যার চেষ্টা করছেন ওই আমেরিকান, এই খবর পাওয়া মাত্রই ভারত এবং রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থার যৌথ উদ্যোগে নাকি ওই ব্যক্তিকে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও এ সংক্রান্ত কোনও তথ্য প্রমাণ এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। বেশ কয়েকটি রিপোর্ট অনুযায়ী, সেন্ট মার্টিন দ্বীপে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্যই ওই আমেরিকান সেনা অফিসারকে নিযুক্ত করা হয়েছিল।
বলা বাহুল্য, ঢাকার হোটেলে ওই আমেরিকান সেনা কর্মকর্তার যেদিন মৃত্যু হয়, সেদিনই সাংহাই সহযোগিতা পরিষদের শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে চিনের তিয়ানজিনে ছিলেন মোদি। সেখানেই সম্মেলনের পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে গাড়ির মধ্যেই একটি জরুরি বৈঠক সারেন প্রধানমন্ত্রী। বিশ্লেষক মহলের দাবি, জরুরী ভিত্তিতে গাড়ির মধ্যে মোদি এবং পুতিনের ওই 45 মিনিটের বৈঠকের পরই ভারত এবং রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থাগুলি তৎপরতার সাথে আমেরিকার ছক বানচাল করে। আর সেদিনই মৃত্যু হয় প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার পরিকল্পনা নিয়ে বাংলাদেশে আসা জ্যাকসনের। সেটাই এখন রহস্যের গন্ধে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
🚨Russian President Putin waited for PM Modi to convey some intelligence information.
Then PM Modi was asked to ride in President Putin Car.
And US Special Forces officer Terrence Arvelle Jackson was killed in Bangadesh by Unknown gunmen.
PM Modi giving some hints after coming… https://t.co/ZH4peRcVVV pic.twitter.com/ExVuXNfImF
— Rakesh Kishore 🇮🇳 (@RakeshKishore_l) October 23, 2025
অবশ্যই পড়ুন: বিশ্বকাপের প্রতিটি ম্যাচে হেরে বিদায়, ICC কে দুষলেন পাক অধিনায়ক ফতিমা!
জল্পনা বাড়িয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এক বক্তব্য
আমেরিকান সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তা জ্যাকসনের মৃত্যুর পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একটি বক্তব্য সেই রহস্যে নতুন গন্ধ যোগ করেছে। গত 2 সেপ্টেম্বর চিন থেকে দেশে ফিরে নয়া দিল্লিতে সেমিকন শীর্ষ সম্মেলনে ভাষণ দেন নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ চলাকালীন পড়ছিল হাততালি। এই সময় বিশেষজ্ঞরা নরেন্দ্র মোদির বক্তব্যের আসল অর্থ বোঝার চেষ্টা করছিলেন। মোদি বলেছিলেন, ‘আমি চিনে গিয়েছিলাম বলে কি আপনারা হাততালি দিচ্ছেন নাকি সেখান থেকে ফিরে আসতে পেরেছি বলে হাততালি দিচ্ছেন?’ জ্যাকসনের মৃত্যুর পর প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্য রহস্যকে আরও জোরালো করেছে। চাগার দিয়ে উঠেছে জ্যাকসন হত্যার ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব।
Plan to Ki!! Narendra Modi Was Foiled by Raw and Russia’s intel agency. Who is Terrence Arvelle Jackson? #NarendraModi #namo #rahulgandhi pic.twitter.com/YIASg2d5aM
— Akash Dhanurkar (@Akashdhanurkar1) October 20, 2025












