বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: দেশে আসছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। মূলত বন্ধু মোদির অনুরোধেই দেশের মাটিতে পা পড়বে রুশ প্রধানের। গত বছর রাশিয়ায় গিয়ে পুতিনকে ভারতে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তবে সেই সময় নানান ব্যস্ততার মাঝে ভারতে আসা হয়নি তাঁর। শোনা যাচ্ছে, অবশেষে বন্ধুর দেশে পা পড়বে পুতিনের। হ্যাঁ, মোদির আমন্ত্রণ রক্ষা করতেই ভারতে আসছেন পুতিন, ক্রেমলিনের তরফে সম্প্রতি জানানো হয়েছে তেমনটাই।
পুতিনের ভারত সফর নিশ্চিত করল রুশ
বিদেশমন্ত্রক
বন্ধুর দেশে আসবেন না তেমনটা হয়! খুব শীঘ্রই ভারত সফরে আসছেন ভ্লাদিমির পুতিন। বলা চলে, ইউক্রেন যুদ্ধের মাঝেই বন্ধু মোদির আমন্ত্রণ রক্ষা করতেই দেশের মাটিতে পায়ের ধুলো পড়বে রুশ নেতার। বৃহস্পতিবার, রাশিয়ার বিদেশ মন্ত্রী সের্গেই লাভরভ জানিয়েছেন, আর কিছু সময়ের অপেক্ষা। শীঘ্রই দিল্লি যাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন।
রাশিয়ার বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই পুতিনের ভারত সফরের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। রাশিয়ার বেশ কিছু সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, আন্তর্জাতিক বিষয়ক কাউন্সিলের এক আলোচনা সভায় পুতিনের ভারত সফর নিয়ে মুখ খুলেছিলেন লাভরভ। সেখানেই ক্যামেরার মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, প্রেসিডেন্ট পুতিন ভারত সরকারের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন।
কবে নাগাদ ভারতে পা পড়বে পুতিনের?
পুতিন যে ভারতে আসছেন এ কথা নিশ্চিত। তবে ঠিক কবে নাগাদ দিল্লিতে পা রাখবেন তিনি, সে বিষয়ে রাশিয়ার বিদেশ মন্ত্রকের তরফে কোনও রকম তথ্য মেলেনি। তবে কিছু সূত্র বলছে, পুতিনের ভারতে আসার তোড়জোড় যেহেতু শুরু হয়ে গিয়েছে, কাজেই আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই দেশের মাটিতে পা পড়তে পারে রুশ প্রেসিডেন্টের।
সৌজন্য রক্ষা করছে রাশিয়া?
ইউক্রেন যুদ্ধ চলাকালীন মোদি বেশ কয়েকবার দুই পক্ষকে সংঘাত থামিয়ে আলোচনায় বসার পরামর্শ দিয়েছিলেন। তবে শুভাকাঙ্ক্ষীর সেই পরামর্শ রাখেনি পুতিনের দেশে। বরং, রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধের আবহ আরও গরম হয়ে ওঠে। যদিও ভারতের তরফে বন্ধু রাশিয়ার বিরুদ্ধে কোনও রকম নেতিবাচক মন্তব্য করা হয়নি।
অবশ্যই পড়ুন: পাকিস্তানে নিকেশ ভারতের আরেক শত্রু
বলা ভাল, দ্বীপাক্ষিক যুদ্ধের মাঝেই পর পর দুবার রাশিয়া সফরে গিয়েছিলেন মোদি। সেখানে গিয়ে পুতিনের সাথে ক্রমশ সখ্যতা গভীর করেছেন তিনি। বিশেষজ্ঞদের একটা বড় অংশ মনে করছেন, বন্ধু মোদির প্রতি সৌজন্যতা বোধ থেকেই এবার দেশে ঘুরতে আসছেন পুতিন।