সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: নিজের দেশের উপরেই হামলা! একে তো গতকাল ভারতের কাছে পাকিস্তান টিম নাকানিচোবানি খেয়েছে। তার উপর রাতের নিস্তব্ধতা ভেঙে ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত হয়েছে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোওয়া প্রদেশের এক গ্রাম। রবিবার গভীর রাতে আচমকা বিমান হামলায় (Pakistan Airstrike) প্রাণ হারিয়েছে 30 গ্রামবাসী। জানা যাচ্ছে, মৃতদের মধ্যে মহিলা এবং শিশুরাও রয়েছে। আর এই ভয়াবহ ঘটনাটি ঘটেছে তিরাহ ভ্যালির মাতরে দারা গ্রামে।
কী ঘটেছিল গতকাল রাতে?
রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গিয়েছে, রাত প্রায় দু’টোর সময় গ্রামের অধিকাংশ মানুষ ঘুমের মধ্যে আচ্ছন্ন। হঠাৎ করেই মাথার উপর যুদ্ধবিমানের শব্দ ভেসে আসে। এরপর মুহূর্তের মধ্যে আকাশ থেকে নেমে আসে একের পর এক বোমা। প্রত্যক্ষদর্শিরা বলছে, প্রথমে বিস্ফোরণের শব্দে গ্রামবাসীদের ঘুম ভেঙে যায়। বাইরে বেরিয়ে সবাই দেখে আগুন জ্বলছে আর চারদিকে ধোঁয়া এবং চিৎকার চেঁচামেচি। আতঙ্কে মানুষ দৌড়তে শুরু করে। তবে ততক্ষণে একের পর এক বোমা গ্রামে আছড়ে পড়ে যা ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার তা হয়ে গিয়েছে।
For American Proxy war The Puppet rulers of Pakistan Killed 4 Children’s in Tirah valley Kpk in An Air Strike When the Words of of White House is more Important than Quran than the Armies became Coward and did Not hesitate to Killed his own People. pic.twitter.com/qhwxfOR3cm
— tayyabx0 (@mtk80052) September 22, 2025
জানা গিয়েছে, প্রায় শক্তিশালী আটটি LS-6 বোমা ওই গ্রামে ফেলা হয়েছিল। এতে মুহূর্তের মধ্যে একাধিক বাড়ি গুঁড়িয়ে যায়। সকাল হতেই ধ্বংসস্তূপের নীচ থেকে উদ্ধার হয় মৃতদেহ। এমনকি মৃতদের মধ্যে শিশুদের দেহও রয়েছে, যা দেখে স্থানীয়রা একেবারে শিউরে উঠছে।
কারা চালালো এই হামলা?
সবথেকে অবাক করার বিষয় হল, এই হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান সেনার নিজস্ব বিমানবাহিনী। আর এতে ব্যবহার করা হয়েছে পাকিস্তানের তৈরি JF-17 ফাইটার জেট। সরকারি সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, এটি ছিল সন্ত্রাসদের বিরুদ্ধে নেওয়া একটি অভিযান। তবে প্রশ্ন উঠছে, সন্ত্রাস দমনের নামে নিরীহ গ্রামবাসীদের প্রাণ নেওয়া ঠিক কতটা যুক্তিসঙ্গত? উল্লেখ্য, এখনও পর্যন্ত 20 জন গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি।
আরও পড়ুনঃ ভারতীয় সেনাকে চরম অপমান পাক তারকা হ্যারিস রউফের! সপাটে জবাব দর্শকদেরও
তবে পাকিস্তান সরকার এখনও তাদের নিজস্ব বিমান হামলার বিষয়ে কোনওরকম আনুষ্ঠানিক বিবৃতি জারি করেনি। কিন্তু মানবাধিকার কমিশন এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এবং পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানিয়েছে। নিজের দেশের অন্দরে এইরকম বিমান হামলা চালিয়ে পাকিস্তান সরকার বিশ্বের কাছে নিজেদের পরিস্থিতি আরও খারাপ করতে চাইছে বলেই দাবি করছে ওয়াকিবহল মহল।