প্রীতি পোদ্দার, ঢাকা: উৎসব মানেই ছুটির মহড়া। গতকাল অর্থাৎ সোমবার, বাংলাদেশের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে সরকারী কর্মীদের উদ্দেশে এক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল। সেখানে জানানো হয়েছে যে রমজান মাসে সাহ্রি ও ইফতারের সময় বিবেচনায় এবার সরকারি কর্মীদের জন্য নতুন সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে। রোজা উপলক্ষে এবার বাংলাদেশে সরকারি অফিস খুলবে সকাল ৯টায়। এবং অফিস ছুটি হবে বিকেল ৩টেয়। আর এই আবহে বাংলাদেশে ঈদুল ফিতর (Eid Ul Fitr) উপলক্ষে একাধিক ছুটি পেতে চলেছে সরকারী কর্মীরা।
ঘোষণা হল ঈদুল ফিতরের ছুটির তালিকা
চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে আগামী ৩১ মার্চ অর্থাৎ সোমবার বাংলাদেশে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হতে পারে। আর প্রতি বছরের মত এবারও এই দিনটার উপর নির্ভর করে সেখানকার সরকারী ছুটির তালিকা নির্ধারণ করা হতে চলেছে। সম্প্রতি এই ছুটি নিয়ে বাংলাদেশের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করেছেন। তালিকা সূত্রে জানা গিয়েছে ২৮ মার্চ শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি। এরপর ২৯ ও ৩০ মার্চ অর্থাৎ শনিবার ও রবিবার ঈদের আগের দুই দিন নির্বাহী আদেশে ছুটি থাকবে। এরপর ৩১ মার্চ সোমবার ঈদুল ফিতরের দিন।
একধাক্কায় টানা ৯ দিন ছুটি?!
পাশাপাশি ১ ও ২ এপ্রিল অর্থাৎ মঙ্গলবার ও বুধবার ঈদের পরের দুই দিন নির্বাহী আদেশে ছুটি থাকবে। এই হিসাবে সরকারি চাকরিজীবীরা টানা ৬ দিন অর্থাৎ ২৮ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি থাকবে। কিন্তু এরপরেও এত ছুটি মিলতে চলেছে সরকারি কর্মীরা। তার কারণ কেউ যদি ৩ এপ্রিল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার অতিরিক্ত একদিন ছুটি নিতে পারেন, তাহলে সেটির সঙ্গে পরের ৪ ও ৫ এপ্রিল ছুটি পেয়ে যাবেন। কারণ ৪ ও ৫ এপ্রিল শুক্র ও শনিবার হওয়ায় সাপ্তাহিক ছুটি যোগ হয়ে যাবে। যার ফলে সব মিলিয়ে মোট ৯ দিনের ছুটির সুযোগ তৈরি হবে।
গত বছর ১৭ অক্টোবর উপদেষ্টা পরিষদ ঈদুল ফিতরে পাঁচ দিন ছুটির অনুমোদন দেয়, যা আগে ছিল তিন দিন। কিন্তু এবার ছুটির তালিকায় একেবারে ৯ দিন ছুটি পেয়ে বেশ আপ্লুত বাংলাদেশের সরকারী কর্মীরা। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা ইতিমধ্যেই দুই দিনের ছুটির প্রস্তুতি নিচ্ছেন। দু-এক দিনের মধ্যে কর্তৃপক্ষের কাছে ছুটির আবেদন জমা করবেন।