জেল হল ব্রিটেনের সবথেকে ধনী হিন্দুজা পরিবারের! কেন কারাদণ্ড দিল সুইস আদালত?

Published on:

hinduja

নতুন করে শিরোনামে উঠে এসেছে হিন্দুজা গ্ৰুপ। না এবার কোনো ব্যবসার জন্য নয়, এবার হিন্দুজা গ্রূপের মালিক ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। মানব পাচার সেইসঙ্গে গৃহকর্মীদের সঙ্গে অবৈধভাবে শোষণের মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। আর সকলেই ঘটনায় এবার দোষী সব্যস্ত হলেন বলে খবর।

গুরুতর মামলায় দোষী সব্যস্ত হিন্দুজা পরিবার

WhatsApp Community Join Now

ইন্ডাসইন্ড ব্যাঙ্ক এবং অশোক লেল্যান্ডের মতো নামী ব্র্যান্ডের মালিক হিন্দুজা পরিবার ব্রিটেনের সবচেয়ে ধনী পরিবার। এই পরিবারের কিছু সদস্য তাদের  সুইৎজারল্যান্ডের জেনেভা ভিলায় ভারতীয় শ্রমিকদের শোষণের জন্য সুইজারল্যান্ডে প্রায় চার বছরের কারাদণ্ডের মুখোমুখি হল । সুইজারল্যান্ডের একটি আদালত অবৈধভাবে লোকজনকে নিয়োগের দায়ে হিন্দুজা পরিবারের চার সদস্যকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন। যদিও হিন্দুজা পরিবার পাল্টা আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে উচ্চ আদালতে গেছে।

কেন জেলে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি হল হিন্দুজা পরিবারের

স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে যে কেন এরকম জেলে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরী হল হিন্দুজা পরিবারের? অভিযোগ, হিন্দুজা পরিবারের সদস্যরা তাঁদের কর্মীদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করেছিলেন। ভারত থেকে এসব শ্রমিককে জেনেভার পারিবারিক ভিলায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সেখানে তাদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করা হতো এবং নামমাত্র বেতনের বিনিময়ে প্রতিদিন ১৭ থেকে ১৮ ঘণ্টা কাজ করানো হতো।

এক রিপোর্ট অনুযায়ী, পরিবারের সদস্যরা তাদের পোষা কুকুরের পেছনে বছরে না যত টাকা খরচ করেন, তার থেকেও কম বেতন দিতেন গৃহকর্মীদের। ঘটনায় প্রকাশ হিন্দুজা ও তাঁর স্ত্রী কমল হিন্দুজাকে চার বছর ৬ মাসের কারাদণ্ড এবং তাঁদের ছেলে অজয় ও নম্রতাকে চার বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তবে আদালত তাঁদের মানব পাচারের আরও গুরুতর অভিযোগ থেকে বেকসুর খালাস দিয়েছে।

ভারতীয় বংশদ্ভূত ও ব্রিটেনের সবথেকে ধনী পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ,  দিনে মাত্র ৮ ডলার বা ৭ ফ্রাঙ্ক (ভারতীয় মুদ্রায় যা ৬৬০ টাকা) বেতন দিয়ে ভারতীয় পরিচারিকাদের দিনে ১৮ ঘণ্টা কাজ করাত হিন্দুজা পরিবার, যা কি না সুইৎজারল্যান্ডের স্ট্যান্ডার্ড রেটের ১০ ভাগের ১ ভাগ। এদিকে সপ্তাহে সাতদিনই কাজ করতে হত পরিচারিকাদের। দেওয়া হত না কোনও ছুটি। এমনকী গৃহকর্মীদের পাসপোর্ট ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগও ওঠে।

কী বলছে হিন্দুজা পরিবার

হিন্দুজা পরিবার সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং বলেছেন যে তাদের কর্মচারীরা নির্দ্বিধায় ভিলা ছেড়ে যেতে পারবেন এবং তাদের যথেষ্ট সুবিধা দেওয়া হবে। হিন্দুজা পরিবারের আইনজীবী আদালতে যুক্তি দিয়েছিলেন যে কর্মীরা “তাদের আরও ভাল জীবন” দেওয়ার জন্য হিন্দুজার কাছে “কৃতজ্ঞ”।

সঙ্গে থাকুন ➥
X