বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: নিজেদের মধ্যে কাদা ছোড়াছুড়ি করে দেশ ও জাতির স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্ব নষ্ট করবেন না। ঢাকার এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজনৈতিক নেতাদের উদ্দেশ্যে সম্প্রতি এমন বার্তাই দিয়েছেন বাংলাদেশের (Bangladesh) সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। একই সাথে নির্বাচন বিলম্বের মাঝেই এদিন রাজনৈতিক দলগুলিকে দ্রুত নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। সূত্রের খবর, ঢাকার অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে সেনাপ্রধান জামান জানান, আমরা সবাই সুখে শান্তিতে থাকতে চাই। হিংসা, হানাহানি কাটাকাটি, এসব আর চাই না।
ঠিক কী বার্তা দিলেন বাংলাদেশের সেনা প্রধান?
ওপার বাংলার বেশ কিছু সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, 2009 সালে তৎকালীন বিডিআর সদর দফতরের হত্যাকাণ্ডে শহীদ সেনা কর্তাদের স্মরণে মঙ্গলবার ঢাকায় এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। আর সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে দেশবাসী ও রাজনৈতিক নেতাদের উদ্দেশ্যে আত্মবিশ্বাসী বার্তা দিয়েছেন ওর বাংলার সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান। এদিন দেশের রাজনৈতিক নেতাদের উদ্দেশ্যে তাঁর বক্তব্য ছিল, রাজনৈতিক নেতারা যদি নিজেদের মধ্যে হিংসা, হানাহানি ও দ্বন্দ্ব অব্যাহত রাখেন তবে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নষ্ট হবে। আমরা আসলে এসব কিছুর উর্ধ্বে গিয়ে শান্তিতে থাকতে চাই।
মঙ্গলবার রাজনৈতিক নেতাদের নিশানা করে সেনাপ্রধান আরও বলেন, যত দ্রুত সম্ভব দেশের নির্বাচনী প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। আমি মনে করি, ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জেনারেলের আরও সংযোজন, যাতে দ্রুত নির্বাচন শেষ করা যায় সেদিকেই নজর রেখেছে দেশের প্রধান উপদেষ্টা তথা মহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সশস্ত্র বাহিনীও বাংলাদেশের জনগণের পাশে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে।
হাসিনাকে দেশ ছাড়া করা নেতার পদত্যাগ
বাংলাদেশের বেশ কিছু সংবাদ মাধ্যমের পাতায় উল্লিখিত তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে একাধিক ইস্যুতে জর্জরিত মহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এমতাবস্থায়, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ দাবি করা তথ্য উপদেষ্টা এবং ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম বিশিষ্ট নেতা নাহিদ ইসলাম ইতিমধ্যেই ইউনূসের মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছেন। কিন্তু কেন? এই প্রশ্নই এখন আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে অন্যতম আলোচ্য বিষয় হয়ে উঠেছে।
সূত্র বলছে, নাহিদ ইসলামের পদত্যাগ মূলত রাজনৈতিক কারণেই হয়েছে। জানা যাচ্ছে, জুলাইয়ের আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী কর্মীদের পাশে দাঁড়াতে একটি নতুন রাজনৈতিক দল গড়ে তুলতে চান তিনি। ইউনূসের মন্ত্রিসভায় পদত্যাগ পত্র জমা দেওয়ার পর সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমন কথাই শোনা গিয়েছিল নাহিদের গলায়।
হাসিনা সরকারের পতনের মূলে থাকা অন্যতম সমন্বয়কারী নাহিদ বলেন, সঠিক পথ অবলম্বন করে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে দেশবাসীর যাবতীয় আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে চেয়েছিলাম। সবশেষ, ইউনূসের তথ্য ও সম্প্রচার এবং ডাক ও টেলি যোগাযোগ মন্ত্রকের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়ে নাহিদের মূল বক্তব্য, রাস্তায় থেকে দেশের জনগণের জন্য কাজ করতেই আমার এই পদত্যাগ।
একপ্রকার শেষের পথে ইউনূস সরকার!
বাংলাদেশের বেশ কিছু সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, হাসিনা ক্ষমতা হারানোর পর ওপার বাংলার রাশ অন্তর্বর্তিকালীন সরকারের হাতে যেতেই পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার পরিবর্তে দেশজুড়ে খুন, রাহাজানি, অপহরণ, ডাকাতির মতো ঘটনা বেড়েই চলেছে। ইউনূসের তরফে বারংবার ওপার বাংলায় হিন্দু নিরাপত্তার কথা শোনা গেলেও বাস্তব চিত্রটা সম্পূর্ণ আলাদা।
অবশ্যই পড়ুন: ভরসা নেই CBI-এ! এবার রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর দ্বারস্থ হচ্ছেন আরজি করের নির্যাতিতার পরিবার
সূত্র বলছে, দীর্ঘ বেশ কয়েক মাস ধরে সে দেশে প্রকাশ্যে অপরাধ বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সাথে বেড়েছে হিন্দুদের ওপর অত্যাচারও। যার ফলে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে প্রতিমুহূর্তে ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। আর সেই সূত্র ধরেই, নতুন সরকার গঠনের পথে হাঁটতে চলেছে দেশবাসী। এবার সেই চিন্তা মাথায় রেখেই ক্ষমতা হারানোর আশঙ্কায় ভুগছে ইউনূস সরকার।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |