তালিবান-পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধের পরিস্থিতি, তোরখাম সীমান্তে ট্যাঙ্ক-কামান! ব্যাপক সংঘর্ষ

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতাঃ আবারও উত্তপ্ত হল আফগানিস্তান-পাকিস্তান (Afghanistan-Pakistan) সীমান্ত। তোরখাম ক্রসিং সংলগ্ন এলাকায় ফের মুখোমুখি তালিবান এবং পাকিস্তানি সেনারা। হ্যাঁ একদম ঠিকই শুনেছেন। এখন দুইপক্ষের মধ্যে তীব্রগুলি বিনিময়ে চলছে। হালকা এবং ভারী অস্ত্রও ব্যবহার করা হচ্ছে। এমনকি ট্যাঙ্ক ও কামানও নামানো হয়েছে সংঘর্ষের ময়দানে। এই যুদ্ধের জন্য সীমান্তবর্তী এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। 

১০ দিন ধরে বন্ধ তোরখাম সীমান্ত

তোরখাম সীমান্ত পাকিস্তানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এক বাণিজ্য পথ। তবে নিরাপত্তা রক্ষা করতে প্রায় ১০ দিন আগেই এই সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে পাকিস্তান। এতে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেছে তালিবান প্রশাসন। কিন্তু পাকিস্তান তালিবানের দাবি নাকোচ করে জানিয়ে দেয় যে, নিরাপত্তার স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তাদের পক্ষ থেকে। এরপর থেকেই দুই পক্ষের মধ্যে আরও উত্তেজনার লেভেল বাড়তে থাকে এবং শেষে পরিস্থিতি সংঘর্ষের দিকে গড়িয়েছে। 

আতঙ্কে সীমান্তবর্তী এলাকা

সূত্র বলছে, দুই পক্ষই এখন সংঘর্ষে ভারী অস্ত্র ব্যবহার করছে। যার ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। একাধিক বাড়ির উপর রকেট এবং মর্টারের গোলা এসে পড়েছে। যার ফলে সাধারণ মানুষের সম্পত্তির প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। জানা যাচ্ছে, ৩রা মার্চ সোমবার, স্থানীয় সময় রাত ২:৩০ নাগাদ এই সংঘর্ষ শুরু হয় এবং এখনো পর্যন্ত সংঘর্ষ চলছে।

সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই সংঘর্ষে তিনজন পাকিস্তানী সেনা আহত হয়েছেন। পাশাপাশি গুলির লড়াইয়ে এক ট্রাক চালকেরও মৃত্যু হয়েছে। যদিও এই বিষয়ে তালিবানের তরফ থেকে এখনো কোনরকম মন্তব্য আসেনি।

আলোচনা করেও মেলেনি সমাধান

তোরখাম সীমান্ত বন্ধ থাকার কারণে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক লেনদেন কার্যত থমকে গেছে। সীমান্তের দুই পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য যানবাহন এবং সাধারণ মানুষ। রবিবার তালিবান এবং পাকিস্তানি প্রতিনিধিদের মধ্যে এই সমস্যা সমাধানের জন্য একটি বৈঠক সম্পন্ন হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই সমস্যার কোন সমাধানসূত্র বের হয়নি।

আরও পড়ুনঃ ভারত-চিন-আমেরিকার লক্ষ্য সোনার মতো দেখতে এই ধাতু! কেন হঠাৎ প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৩ শক্তিধর?

এই সীমান্ত দ্বন্দ্ব কবে মিটবে, কবে ফের সচল হবে তোরখাম সীমান্ত, এই বিষয়ে এখনও ধারণা অস্পষ্ট। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা আরও ভয়াবহ হতে পারে, যা এই অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে।