Indiahood-nabobarsho

করোনার পর আরেক ভাইরাসের থাবা চিনে, হাসপাতালে ভিড় জনতার, ভাইরাল ভিডিও ঘিরে আতঙ্ক

Published on:

hmpv virus

প্রীতি পোদ্দার, বেজিং: করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক এবং ভয় এখনও কাটেনি বিশ্ব জুড়ে। এখনও সেই ভয়ংকর মুহূর্তগুলি স্মৃতির মণিকোঠায় আঁকড়ে রয়েছে। আর সেই করোনার দাপট প্রথম শুরু হয়েছিল ২০১৯ এর শেষে প্রথম চিন থেকেই। তারপর একের পর ভেরিয়েন্ট গোটা বিশ্বকে তছনছ করে দিয়েছিল। বিশ্বের অধিকাংশ দেশের মানুষের জীবন চলে গিয়েছিল এই মহামারির তাণ্ডবে। কোটির বেশি সংক্রমণ, অক্সিজেনের জন্য হাহাকার, মৃত্যুমিছিল – এইসব ঘটনা রুদ্ধ করে দিয়েছিল গোটা জগৎ কে। আর এই আবহে ফের আরও একবার ভয় ধরাচ্ছে চিনের নতুন ভাইরাস। তবে কি নতুন বছরও ২০২০ র স্মৃতি ফিরিয়ে আনছে।

গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন Join Now

ফের চিনের দেখা গেল নয়া ভাইরাস?

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় চিনের বিভিন্ন হাসপাতালকে কেন্দ্রীয় করে একাধিক ভিডিয়ো বেশ ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে চিনের বিভিন্ন হাসপাতালে রোগীদের ভিড় যেন উপচে পড়ছে। ওই ভিডিয়োগুলিতে দাবি করা হচ্ছে যে, রোগীরা প্রায় প্রত্যেকেই হিউম্যান মেটাপনিউমোনিয়া বা HMPV সহ একাধিক ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে। মূলত শিশু ও কিশোররা আক্রান্ত হচ্ছে এই ভাইরাসে। শোনা যাচ্ছে এই ধরনের ভাইরাস নাকি প্রথমে ফুসফুসে হানা দিচ্ছে যার ফলে খুব শীঘ্রই নাকি সংক্রমিত হয়ে যাচ্ছে ‘হোয়াইট লাংস’। তবে এখনও পর্যন্ত এই ভাইরাস নিয়ে কোনও নিশ্চিত তথ্য দেয়নি চিন সরকার।

সরাসরি আক্রমণ করছে ফুসফুসে!

সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রে জানা গিয়েছে, চিনের ন্যাশনাল ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এই নিউমোনিয়ার প্রাদুর্ভাবের কারণ এর উৎস নিয়ে নানা রকমের পরীক্ষা চালাচ্ছে। যদিও চিনে এই শীতের মরশুমে ফুসফুসের সমস্যা, নিউমোনিয়া , শ্বাসকষ্ট বাড়ে। তাই এই ভাইরাসের দাপটও শীতে বাড়তে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে খুব শীঘ্রই এই রোগের প্রতিরোধক নিয়ে আসা হবে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে কিছুদিন আগেই রাইনোভাইরাস এবং হিউম্যান মেটাপনিউমোভাইরাসের মতো রোগজীবাণুর দাপট দেখা গিয়েছিল চিনে। মূলত ১৪ বছরের কম বয়সিরাই এই রোগে আক্রান্ত হয়েছিল।

বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে Join Now

এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভাইরাল ভিডিয়ো দেখে অনেকেই কোভিড অতিমারির ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন। কারণ কোভিডের সঙ্গে HMPV-র অনেক মিল রয়েছে। এটিও হাঁচি-কাশির মাধ্যমে সংক্রমিত ব্যক্তির থেকে অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। রোগীর ব্যবহৃত জিনিসের সংস্পর্শে এলেও এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তাই বছর শুরুর আনন্দের মাঝেই ভয়ের উপদ্রব তৈরি হয়েছে।

গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্যJoin Group
চাকরির খবরের জন্যJoin Hood Jobs
রাশিফলের জন্যJoin Hood Rashifal
খেলার খবরের জন্যJoin Whatsapp
সঙ্গে থাকুন ➥
X
Join Group