কলকাতাঃ এই মুহূর্তে বদলের বাংলাদেশে চরমে উঠেছে বিদ্যুৎ সংকট। দেশে প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে শুরু করে কয়লার অভাব দেখা দিয়েছে। ওদিকে আদানি পাওয়ার ঝাড়খণ্ড থেকে যেই বিদ্যুৎ তৈরি করে বাংলাদেশে পাঠাত, সেটাও অর্ধেক করে দিয়েছে। কারণ আদানি গ্রুপ বাংলাদেশের কাছে নাই নাই করে ৭২ হাজার কোটি টাকা পায়। আর সেই টাকা মেটানোর জন্য ৭ নভেম্বরের ডেডলাইন বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। রিপোর্ট অনুযায়ী, ৭ নভেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশ কেবল মাত্র ২ হাজার কোটি টাকাই দিয়েছে আদানিকে। আর এবার বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেক করার পর, বাংলাদেশ থেকে ব্যবসাও গোটাতে উদ্যোগী হয়েছে আদানি গ্রুপ (Adani Group)।
বাংলাদেশে বিনিয়োগ থেকে পিছু হটছে আদানি গ্রুপ
প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, বাংলাদেশে যেই বিনিয়োগ করার কথা ছিল আদানি গ্রুপের, তা থেকে পিছু হটতে চলেছে তাঁরা। বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ও সমুদ্র বন্দরগুলোতেও বিনিয়োগের পরিকল্পনা ছিল আদানির, সেটাও এখন বিশ বাঁও জলে। আদানি গ্রুপের এই সিদ্ধান্তে ঝটকা খেতে চলেছে বদলের বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, আদানি পোর্টস প্রাইভেট লিমিটেডের চেয়ারম্যান সন্দীপ মেহটা জানিয়েছেন যে, তাঁরা কিছু কাজ বন্ধ করে সমাধানের পথে হাঁটতে চলেছে। আর এই কাজ বন্ধ করার পর আদানি গ্রুপের তরফে মোস্তাফিজুর রহমান নামের এক ব্যক্তিকে আরবিট্রেট হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। রহমান কোম্পানি বন্ধ করার দায়িত্ব পালন করবেন।
কেন ব্যবসা গোটানোর প্ল্যান আদানি গ্রুপের?
বিদ্যুতের বকেয়া পরিশোধ না করার কারণেই বাংলাদেশ থেকে ব্যবসা গোটানোর সিদ্ধান্ত নিচ্ছে আদানি গ্রুপ। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের বন্দর ও অর্থনইতিক অঞ্চলের পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য ব্যবসা ও নিয়োগের পরিকল্পনা ছিল আদানি গ্রুপের। এর জন্য মিরসরাইয়ে ৯০০ একর জমিতে শিল্প স্থাপন ও বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা নিয়েছিল আদানি গ্রুপ। কিন্তু এখন এই প্রকল্পের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত।
যদিও বাংলাদেশের বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান জানিয়েছেন যে, আদানি গ্রুপ চলে গেলে সেখানে অন্য কোনও কোম্পানি উন্নয়নের কাজ করবে। কোন কোম্পানি এই প্রকল্পে কাজ করবে, সেটা ভারতের সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করা হবে।