প্রীতি পোদ্দার: আগামী ১৮-১৯ নভেম্বর ব্রাজিলে G20 শীর্ষবৈঠকে যোগ দিতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভার আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে ওই সম্মেলনে শামিল হবেন প্রায় ৫০ জন রাষ্ট্রনেতা। তাই গোটা এলাকা জুড়ে নিরাপত্তার মাত্রা যেন বাড়িয়ে দেওয়া হয় প্রেসিডেন্টের তরফ থেকে। কিন্তু এত নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও শীর্ষবৈঠকের আগেই এবার বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল ব্রাজিলের রাজধানী ব্রাসিলিয়ার ‘থ্রি পাওয়ার্স প্লাজা’ এলাকা।
সুপ্রিম কোর্টের সামনে মহা বিস্ফোরণ!
সূত্রের খবর, ভারতীয় সময় গতকাল অর্থাৎ বুধবার গভীর রাতে তবে ব্রাসিলিয়ায় তখন দুপুর সেই সময় সুপ্রিম কোর্টের সামনে ব্রাজিলের রাজধানী ব্রাসিলিয়ার ‘থ্রি পাওয়ার্স প্লাজা’ এলাকায় হঠাৎই দু’টি বিস্ফোরণ ঘটে। উদ্দেশ্য ছিল ব্রাজিলের সুপ্রিম কোর্টকে বিস্ফোরণের মাধ্যমে উড়িয়ে দেওয়া। সেই কারণে একজন ব্যক্তি আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী হিসেবে ওই ভবনে প্রবেশের চেষ্টা করছিলেন, সেই সময় বোমাটি বিস্ফারিত হয় এবং ওই হামলাকারী ঘটনাস্থলেই মারা যান। শুধু তাই নয় ভবনের বাইরে পার্ক করা তাঁর গাড়িতেও বিস্ফোরণ ঘটে।
বিস্ফোরণে মৃত ১
হামলার চেষ্টা দেখে ব্রাজিলের পুলিশ ও সরকারের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এবং সঙ্গে সঙ্গে খালি করে ফেলা হয় আদালত চত্বর। অদূরের সচিবালয় এবং পার্লামেন্ট ভবন থেকে মন্ত্রী, সরকারি আধিকারিকদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। রোবট সহ একটি বোমা নিষ্ক্রিয় স্কোয়াড সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের প্রতিটি কোণায় তল্লাশি চালানো হয়। এখনও পর্যন্ত মৃত হামলাকারীর কোনো পরিচয় জানা যায়নি।
প্রশ্ন উঠছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে
বিস্ফোরণের সময় সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি বুঝে আদালতের বিচারকদের তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার করে কঠোর নিরাপত্তায় তাঁদের বাড়িতে পাঠানো হয়। এই প্রসঙ্গে জেলা ডেপুটি গভর্নর সেলিনা লিও বলেন, এক ব্যক্তি সুপ্রিম কোর্টে প্রবেশের চেষ্টা করেন। ক্যাম্পাসে সে পৌঁছালেই বিস্ফোরণ ঘটে। বাইরে পার্ক করা গাড়িতেও বিস্ফোরণ ঘটে। এদিকে সন্মেলনের আয়োজন প্রায় শেষের দিকে। তার আগে এমন ভয়ংকর ঘটনায় রীতিমত দেশের সরকারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিতে প্রশ্ন উঠছে। ফেডারেল পুলিশ জানিয়েছে, এ হামলা কারা কেন চালিয়েছে তা এখনও স্পষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি। ঘটনার তদন্ত কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।