শ্বেতা মিত্রঃ কখনো ইলিশ তো কখনো বিদ্যুৎ নিয়ে বারবার শিরোনামে উঠে আসছে বাংলাদেশ। যত সময় এগোচ্ছে বিতর্ক যেন কিছুই ছাড়তে চাইছে না এই দেশের। গত ৫ ই আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে একের পর এক বিতর্কে জড়িয়েই চলেছে বাংলাদেশ। তার ওপর গোদের ওপর বিষফোঁড়া হয়েছে নতুন অন্তর্বর্তী সরকার। বিগত লাগাতার কিছু সময় ধরে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ইলিশ মাছ পাঠানো নিয়ে একের পর এক বিতর্ক শুরু হয়েছে। প্রথমে ভারতে ৩০০০ টন ইলিশ মাছ পাঠানোর কথা থাকলেও সেই পরিমাণের মাত্রা আরও কিছুটা কমিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ অন্যদিকে এবার বাংলাদেশের পাল্টা যেন দিতে শুরু করেছে ভারত। ইলিশের বদলে বিদ্যুতের পালটা দিতে শুরু করেছে ভারত সরকার বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিদ্যুৎ সংকটে ভুগছে বাংলাদেশ!
বাংলাদেশের বক্তব্য বেশ কিছু সময় ধরে যতটা পরিমাণ বিদ্যুৎ পাঠানোর কথা সেই পরিমাণ বিদ্যুৎ পাঠাচ্ছে না ভারত। একে একে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে ভারতের বিদ্যুৎ সংস্থাগুলি। যে কারণে আগস্ট মাসে মাঝামাঝি সময় থেকে ব্যাপকভাবে বিদ্যুতের সংকটে ভুগত্র হয়েছে ওপার বাংলাকে। দিনের পর দিন ধরে বাংলাদেশের বেশ কিছু এলাকা রীতিমতো অন্ধকারে ডুবে গিয়েছে। আর এর কারণ হিসাবে অবশ্যই ভারতকে দায়ী করেছে বাংলাদেশ। অবশ্য পরিস্থিতি আগে থেকে কিছুটা ভালো হয়েছে বলেও দাবি করেছে বাংলাদেশ।
বিদ্যুতের সরবরাহ কমাল ভারত!
বাংলাদেশে বিদ্যুতের ঘাটতির পেছনে মূল ভূমিকা পালন করছে ভারত থেকে আমদানি করা বিদ্যুতের সরবরাহ কমে যাওয়া। কমপক্ষে ৭০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে ভারত বলে অভিযোগ করা হয়েছেন বাংলাদেশের নতুন সরকারের তরফে। এরইসঙ্গে এলএনজি সরবরাহ থেকে শুরু করে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে গিয়েছে বাংলাদেশে। যে কারণে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি যেন আরো হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের বিদ্যুৎ বিভাগের তরফে দেওয়া তথ্য অনুনুযায়ী, এমনিতে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ২৭ হাজার ৭৯১ মেগাওয়াট। ভারত থেকে আমদানি এবং বাংলাদেশে উৎপাদন মিলিয়ে সর্বোচ্চ উৎপাদন হয়েছে ১৬ হাজার ৪৭৭ হাজার মেগাওয়াট। চুক্তি অনুযায়ী ভারত থেকে দৈনিক ২ হাজার ৭৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহের কথা। কিন্তু গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর থেকে ৭০০ মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে ভারতের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলি।