বাংলাদেশ দখলের পথে রোহিঙ্গারা? আরও ৮০ হাজার শরণার্থীর প্রবেশে চিন্তায় ইউনূস সরকার

Published on:

muhammad yunus

প্রীতি পোদ্দার, ঢাকা: ওপার বাংলায় রাজনৈতিক ক্ষোভ যেন কিছুতেই কমছে না। সেখানকার সংখ্যালঘু হিন্দুদের বিক্ষোভ, দ্বন্দ্ব ও বিতর্ক এখনও চলছে রাষ্ট্রের কোণায় কোণায়। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে এখনও সেখানকার হিন্দুদেরকে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে চলেছে সেখানকার সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম সমাজ। যার ফলে অনেকেই নিজেদের প্রাণ বাঁচাতে এবং ভবিষ্যত সুনিশ্চিত করতে বেআইনি পথ অবলম্বন করে ভারতে প্রবেশ করছে। ইতিমধ্যে অনেকেই ধরা পড়েছেন। আর এই আবহে আরও এক বিশেষ চিত্র ধরা পড়ল বাংলাদেশে। হাজার হাজার রোহিঙ্গার দল ঢুকলো বাংলাদেশে।

বাংলাদেশে ঢল নামছে রোহিঙ্গাদের

WhatsApp Community Join Now

সূত্রের খবর, এইমুহুর্তে বাংলাদেশ লাগোয়া মংডু শহর সহ মায়ানমারের বিস্তীর্ণ অঞ্চল বিদ্রোহী আরাকান আর্মির দখলে। এই সশস্ত্র গোষ্ঠী রাখাইন প্রদেশের রোহিঙ্গাদের ওপর ভবিষ্যতে ভয়াবহ ‘অত্যাচার’ চালাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যার জেরে ফের একবার বাংলাদেশে বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করতে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল অনেক আগেই। কিন্তু এবার যে সেই আশঙ্কাই সত্যি হল এমন তথ্যই খোদ নিজেই দিলেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। এই প্রসঙ্গে তিনি দাবি করলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে নতুন করে আরও ৮০ হাজার রোহিঙ্গা প্রবেশ করেছে।

মোট ১২ লাখ রোহিঙ্গার বসবাস বাংলাদেশে

এর আগে ২০১৭ সালের আগস্টে মায়ানমার সেনাবাহিনীর ‘গণহত্যা’ ও ‘নিপীড়নে’র হাত থেকে রক্ষা পেতে দেশটি থেকে প্রায় ৭ লক্ষ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছিল। তখন তাঁদের নিয়ন্ত্রণ করতে সেই সময়কার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কালঘাম ছুটেছিল। বর্তমানে বাংলাদেশের ৩৩টি শিবিরে মোট ১২ লাখ রোহিঙ্গা বসবাস করছে বলে জানা গিয়েছে। তবে এখনও প্রায় ৫ লাখ রোহিঙ্গা মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশে থাকে। এদিকে এই অবস্থায় আরও ৮০ হাজার রোহিঙ্গা এদেশে উপস্থিত হওয়ায় মাথায় হাত পড়েছে ইউনূস সরকারের। এদিকে গত সাত বছর ধরে রোহিঙ্গাদের তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করেছে বাংলাদেশ। তবে এর মধ্যে একজন রোহিঙ্গাকেও মায়ানমারে ফেরত পাঠানো যায়নি।

প্রসঙ্গত, রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে এসে কক্সবাজার এলাকার বিশাল জায়গা জুড়ে রয়েছে। এর জেরে কক্সবাজারের পরিবেশ দূষণ এবং অপরাধ বেড়েছে বলে সেখানকার প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে। এই আবহে আরও বেশি সংখ্যক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকলে তা মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াবে মহম্মদ ইউনুসের জন্যে। তাই বান্দরবান ও কক্সবাজার সীমান্তে আরও টহল জোরদার করেছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ। তাও এরই মাঝে সীমান্ত পার করে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ছে রোহিঙ্গারা।

সঙ্গে থাকুন ➥
X