বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: ফের ধরা পড়ল পাকিস্তানের মিথ্যাচার! এবার একেবারে আমেরিকার (America) হাতেই খুলল মুখোশ! জানা যাচ্ছে, আজ অর্থাৎ শনিবার ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া মার্কিন সেনা দিবসের কুচকাওয়াজে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনিরকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলেই একটি খবর ছড়িয়ে পড়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়।
এবার সেই খবরেরই অস্ত্রোপচার করেছে আমেরিকা। সম্প্রতি হোয়াইট হাউসের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, শনিবার ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন সেনা দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনিরকে কোনও আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়নি। আর এমন খবর প্রকাশ্যে আসতেই, মুখোশ খুলে গিয়েছে সন্ত্রাসবাদের আশ্রয়দাতার। অনেকেই মনে করছেন, ভারতীয় স্বার্থের কথা মাথায় রেখেই এমন পদক্ষেপ নিল ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেশ।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়েছিল গুজব
সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে ঝড়ের গতিতে ছড়িয়ে পড়ছিল একটি খবর। যেখানে দাবি করা হচ্ছিল, 14 জুন অর্থাৎ শনিবার অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া মার্কিন সেনা দিবসের অনুষ্ঠানে নাকি আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে পাক সেনা জেনারেল আসিম মুনিরকে। তবে সেই খবর যে একেবারে ভুয়ো তা ইতিমধ্যেই নিশ্চিত করেছে হোয়াইট হাউস। সদ্য আমেরিকার তরফে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলা হয়েছে, মার্কিন সেনার কুচকাওয়াজে কোনও সামরিক নেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
পাকিস্তানের মিথ্যাচার ফাঁস করেছেন এক সাংবাদিক
জানিয়ে রাখি, পাকিস্তানের জনগণ আসিম মুনিরকে নিয়ে যে মিথ্যাচার ছড়িয়েছিলেন তা ফাঁস করেছেন সাংবাদিক আদিত্য রাজ কৌল। ওই সাংবাদিক নিজের X হ্যান্ডেলের একটি পোস্টে হোয়াইট হাউসের বিবৃতি ভাগ করে নিয়েছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হোয়াইট হাউসের এমন পদক্ষেপ ভারত ও আমেরিকার মধ্যে শক্তিশালী কৌশলগত সম্পর্ক, বিশেষত ভারত সম্প্রতি অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে পাকিস্তানের সন্ত্রাসীদের ওপর যে নির্ভুল আক্রমণ চালিয়েছে, তার ফলাফল হিসেবেই দিল্লির সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে ওয়াশিংটন ডিসি।
অবশ্যই পড়ুন: বিদেশি ছাঁটাইয়ের আবহে ইস্টবেঙ্গলেই থাকছেন দিমিত্রিওস! সঙ্গে আরও দুই নাম
কীভাবে ভারতীয় স্বার্থ রক্ষা করল আমেরিকা?
আসলে বিশেষজ্ঞদের মতে, পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের মার্কিন সেনা দিবসের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণের বিষয়টিকে নিয়ে আমেরিকা যে পদক্ষেপ করেছে তা আদতেই ভারতীয় স্বার্থ মাথায় রেখে! কীভাবে? বিশেষজ্ঞ মহলের দাবি, বিগত বছরগুলিতে ভারত ও আমেরিকার মধ্যে প্রতিরক্ষা ও সন্ত্রাসবাদবিরোধী সহযোগিতা বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে পাকিস্তানের ভাবমূর্তি সন্ত্রাসবাদের আশ্রয়দাতা হিসেবেই তৈরি হয়েছে।
এমতাবস্থায়, ভারতের পাশাপাশি আমেরিকাও সীমান্তের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ রুখতে পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, চারিদিকে পাক সন্ত্রাসবাদীদের নানান কুকীর্তির মাঝে পাকিস্তানের সেরা জেনারেলকে আমন্ত্রণের বিষয় আমেরিকার অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে আঘাত হানতে পারতো। ফলত, সব দিক চিন্তা করে ও ভারতীয় স্বার্থ মাথায় রেখেই আমেরিকার মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ নিয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরকার।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |