সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার রেশ এখনো কাটেনি। সেই রক্তাক্ত ঘটনার ঠিক তিন মাস পরই আন্তর্জাতিক স্তরে বিরাট পদক্ষেপ নিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (US on Pahalgam Attack)। TRF নামক জঙ্গি সংগঠনকে এবার সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করে ফেলল আমেরিকা! হ্যাঁ, এরাই চলতি বছরের 22 এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে হামলা চালিয়ে 26 জন নিরীহ পর্যটকদের প্রাণ কেড়ে নিয়েছিল।
তবে শুধুমাত্র TRF নয়, বরং তাদের পেছনে থাকা সংগঠন লস্কর-ই-তইবা’র বিরুদ্ধেও সরাসরি আঙুল তুলেছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন প্রশাসন। এমনকি TRF-কে বলা হয়েছে পাকিস্তানের তৈরি ছদ্ম সংগঠন, যাদের মূল উদ্দেশ্য ভারতের মতো দেশে আতঙ্ক ছড়ানো।
বিস্ফোরক মন্তব্য মার্কিন পররাষ্ট্র সচিবের
সম্প্রতি মার্কিন বিদেশ সচিব মার্কো রুবিও এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, TRF আসলে লস্কর-ই-তইবা’র আরেকটি রূপ, এক ছদ্মবেশ। হ্যাঁ, পহেলগাঁও হামলার দায় নিয়ে তারা নিজেদের পরিচয় স্পষ্ট করেছে। তাই আমরা এই সংগঠনকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিসেবেই তালিকাভুক্ত করছি।
তিনি আরো জানিয়েছেন, TRF-কে এবার বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন এবং বিশেষভাবে মনোনীত বৈশ্বিক সন্ত্রাসী হিসেবেই তালিকাভুক্ত করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে আমেরিকার অভিবাসন আইন এবং জাতীয় নিরাপত্তা আইনের আওতায় এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়েছে বলে দাবি করছে Zee নিউজের একটি রিপোর্ট।
পহেলগাঁও হামলার পর ট্রাম্পের বক্তব্য
চলতি বছরের 22 এপ্রিল জম্মু কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের বৈসারণ উপত্যকায় যখন পর্যটকদের উপর হামলা হয়েছিল, তখন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সরাসরি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ফোনালাপ করেছিলেন। ট্রাম্প বলেছিলেন, “আমি ভারতের পাশে রয়েছি। এই জঙ্গি হামলার ন্যায় বিচারের জন্য আমেরিকা ভারতকে সর্বত্র সাহায্য করতে প্রস্তুত।” তিনি এও জানিয়েছিলেন, কাশ্মীর ইস্যু হাজার বছরের পুরনো হলেও এরকম হামলা কখনোই মেনে নেওয়া যায় না।
আসলে এই TRF কারা?
বলে দিই, TRF অর্থাৎ দ্য রেসিসট্যান্স ফ্রন্ট হল একটি ছদ্মবেশি সংগঠন, যা আসলেই লস্কর-ই-তইবা’র একটি শাখা। পাকিস্তানের আইএসআই এবং সেনাবাহিনী এই সংগঠনের মাধ্যমে ভারত বিরোধী কার্যকলাপ চালিয়ে বেড়ায়। 2019 সালে যখন আর্টিকেল 370 বাতিল হয়েছিল এবং পুলওয়ামা হামলার পরে FATF-র উপর চাপ পড়েছিল, তখন আন্তর্জাতিক স্তরে নজর এড়াতেই তৈরি হয়েছিল এই TRF-র মতো জঙ্গি সংগঠন।
ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলির একাধিক রিপোর্ট বলছে, 2020 সাল থেকে কাশ্মীরে যতগুলো হামলা হয়েছে, তার মধ্যে সবকটিই TRF-র চক্রান্ত। এমনকি TRF-ই 2021 সালের জম্মু-কাশ্মীরের এয়ারফোর্স স্টেশনে ড্রোন হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করছে বেশ কিছু রিপোর্ট। পাশাপাশি সীমান্তের ওপার থেকে ড্রোনে অস্ত্র এবং বিস্ফোরক পাঠানোর মতো একাধিক ঘটনার সঙ্গে TRF জড়িত রয়েছে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |