শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ যত সময় এগোচ্ছে ততই ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যেকার পারস্পরিক সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকছে। মূলত দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক অস্থিরতায় ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক (India Bangladesh relation) তিক্ত হয়ে ওঠার প্রেক্ষাপটে ভারতের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে আলু ও পেঁয়াজ আমদানির জন্য ভারত ছাড়া অন্য উৎসের দিকে নজর দিচ্ছে ঢাকা। ঢাকায় শুধু ভারত থেকে আলু ঢোকে। এছাড়াও আলু ওঁ পেঁয়াজের জন্য ভারত ও মিয়ানমারের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়। এছাড়াও আবার কিছু আসে পাকিস্তান, চীন ও তুরস্ক থেকে।
নতুন উৎস খুঁজছে বাংলাদেশ!
ভারত ঐতিহ্যগতভাবে বাংলাদেশের সঙ্গে একটি শক্তিশালী বাণিজ্যিক সম্পর্ক উপভোগ করে এবং দেশটি ভারতের টেক্সটাইল ও কৃষি রফতানির একটি প্রধান বাজার। বাংলাদেশে রফতানি ২০১০-১১ সালে ৩.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে বেড়ে ২০২১-২২ সালে ১৬.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য কমে যায়। এরপর ইসকন সন্ন্যাসীর গ্রেফতারকে কেন্দ্র করে চলমান অস্থিরতায় ফুলবাড়ি চেকপোস্ট ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে বাণিজ্য বেশ খানিকটা মার খেয়েছে।
এহেন অবস্থায় বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন কিছু সম্ভাব্য উৎস খুঁজে পেয়েছে। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রক এই বিষয়ে সতর্ক করেছে। আমদানিকারকদের সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছে এক আধিকারিক। ভারতের আলুর পরিবর্তে জার্মানি, মিশর, চিন এবং স্পেনের আলু আনার পরিকল্পনা রয়েছে বাংলাদেশের। চীন, পাকিস্তান ও তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ কেনা যায়। আলু ও পেঁয়াজের দাম ও সরবরাহ স্থিতিশীল রাখতে বিকল্প উৎস চিহ্নিত করেছে বিটিটিসি। বাণিজ্য মন্ত্রকের সচিব সেলিম উদ্দিন জানান, বলেন, ‘আমরা আমদানিকারকদের এসব বিকল্প বিবেচনা করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
জিনিসের দাম বাড়ছে হু হু করে
এদিকে বাংলাদেশে জিনিসের দাম হু হু করে বাড়ছে। বিটিটিসির অভিযোগ, পেঁয়াজ ও আলুর দাম বেড়েছে ১০.৫৯ শতাংশ এবং বার্ষিক বেড়েছে ১৩১ শতাংশ। সোমবার ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিসরির ঢাকা সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |