একদম দোরগোড়ায় এসে হাজির হয়েছে দুর্গাপুজো। আর এই দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে সকলের উত্তেজনা রীতিমতো তুঙ্গে রয়েছে। জায়গায় জায়গায় চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। কলকাতা শহর থেকে শুরু করে গ্রাম বাংলা সেজে উঠেছে আলোর রোশনাইয়ে। এমনকি পুজো উপলক্ষে সরকারী অফিসগুলিতেও ছুটি পড়ে গিয়েছে। যদিও চলতি বছরের দুর্গাপুজোয় স্কুল পড়ুয়ারা কীভাবে আনন্দ করবে এখন সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এখন নিশ্চয়ই ভাবছেন কীভাবে? তাহলে বিশদে জানতে ঝটপট পড়ে ফেলুন আজকের এই প্রতিবেদনটি।
পুজোতে চলবে অনলাইন ক্লাস
মাঝে নানা ইস্যুতে ছুটি থাকার কারণে সিলেবাস শেষ হয়নি। এদিকে সিলেবাস শেষ না হওয়া নিয়ে রীতিমতো উঠবে প্রকাশ করছিলেন স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষিকা থেকে শুরু করে পড়ুয়াদের অভিভাবকরা। এহেন অবস্থায় পুজোর ছুটিতে অনলাইন ক্লাসের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর এই নির্দেশিকা শুনে স্বাভাবিকভাবে স্কুল পড়ুয়াদের মন খারাপ। পুজোর সময় অনেকেই নানা রকম প্ল্যান করে বসেছিল নিশ্চয়ই, তবে এবার পুজোর সময় অনলাইন ক্লাস চলবে এই কথাটা ভেবেই সকলের গায়ে যেন রীতিমতো জ্বর আসতে শুরু করেছে।
বিজ্ঞপ্তি জারি উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের
অনলাইন ক্লাস চলবে বলে স্কুলগুলিকে নির্দেশিকা পাঠিয়ে জানিয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। আসলে চলতি বছর থেকেই উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে সেমিস্টার পদ্ধতি শুরু হয়েছে। শুধু তাই নয় বিভিন্ন সিলেবাসেও পরিবর্তন ঘটানো হয়েছে। আরে কাজ করতে গিয়ে বেশ খানিকটা দেরি হয়েছে বলে স্বীকার করে নিয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। এই বিষয়ে বড় তথ্য দিয়েছেন উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘এই ক্লাস বাধ্যতামূলক নয়। তবে লক্ষ্মী পুজো থেকে কালীপুজোর মধ্যে স্কুলগুলি মনে করলে একাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ক্লাস করাতে পারে। যাতে দ্বিতীয় সিমেস্টারের আগে পড়ুয়াদের সিলেবাস শেষ করা যায়।’ অর্থাৎ পূজার সময় অন্যান্য সরকারি কর্মীদের ছুটি থাকলেও স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের টানা ছুটি থাকবে না তা ইঙ্গিত মিলেছে সংসদের বক্তব্যে।
নির্দেশ ঘিরে প্রশ্ন শিক্ষক মহলে
এদিকে সংসদের আচমকা এহেন নির্দেশ ঘিরে ইতিমধ্যেই শিক্ষক মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বেশ কিছু স্কুলের তরফে বলা হয়েছে, শিক্ষা সংসদ অনুরোধ করেছে প্রধান শিক্ষকদের। যেহেতু বিজ্ঞপ্তি মধ্যশিক্ষা পর্ষদ বা শিক্ষা দফতরের তরফ থেকে দেওয়া হয়নি। তা বাস্তবায়ন করা যথেষ্ট কঠিন।