প্রীতি পোদ্দার, সিওল: বর্ষশেষের মুখে ফের বিমান দুর্ঘটনার খবর। কাজাখস্তানের পর এবার ভয়াবহ দুর্ঘটনার সাক্ষী হল দক্ষিণ কোরিয়া (South korea plane crash)। সেদেশের মুয়ান বিমানবন্দরে ভেঙে পড়ল যাত্রীবাহী এক বিমান। ঘটনার চাঞ্চল্যতা ছড়িয়েছে গোটা বিশ্বে। এখনও চলছে উদ্ধারকার্য।
দক্ষিণ কোরিয়ায় বিমান দুর্ঘটনা | South korea plane crash |
রিপোর্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ অর্থাৎ রবিবার, দক্ষিণ কোরিয়ার জেজু এয়ার সংস্থার বিমানটি ব্যাঙ্কক থেকে মুয়ান শহরে আসছিল। আর তখনই ঘটে দুর্ঘটনা। সঙ্গে সঙ্গে বিমানের আগুন জ্বলে ওঠে। কোনরকমে সকলের সহায়তায় এবং দমকলের সাহায্যে সেই আগুন নেভানো হয়। জানা গিয়েছে জেজু এয়ারের বিমানটিতে ৬ জন কর্মী-সহ ১৭৫ জন যাত্রী ছিলেন। দুর্ঘটনার পর জরুরি ভিত্তিতে বৈঠকে বসেছে দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার। আপাতত বিমান দুর্ঘটনায় ৮৫ জনের মৃত্যুর খবর জানা গিয়েছে। তবে এখনও দমকল বাহিনী মৃতের সংখ্যা নিশ্চিত করতে পারেনি। কিন্তু আশঙ্কা করা হচ্ছে এই দুর্ঘটনায় সকলেরই মৃত্যু হয়েছে। এদিকে সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে কিছু ছবি এবং ভিডিয়ো।
ভাইরাল ভিডিও
যেখানে দেখা গিয়েছে, মুয়ান বিমানবন্দরের আকাশ ঢেকেছে কালো ধোঁয়ায়। বিমানটি রানওয়ের উপরেই ছিল। সামনের দিকে এগোতে এগোতে আচমকা পাইলটের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রানওয়ে থেকে সরতে শুরু করে। সঙ্গে সঙ্গে সামনে ধাক্কা মেরে বিমানটি জ্বলে ওঠে। দমকল এবং বিমানবন্দরের একাধিক গাড়ি সে দিকে ছুটে যায়। বিমানের সামনের দিকটিতে আগুন ধরলেও পিছনের দিকের অংশ অক্ষত ছিল। এখনও পর্যন্ত মুয়ান বিমানবন্দরে বিমানের ধ্বংসস্তূপ থেকে দু’জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। কিন্তু কীভাবে এই দুর্ঘটনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে তদন্তকারীদের মাধ্যমে। তবে আশঙ্কা করা হচ্ছে বিমানের ল্যান্ডিং গিয়ার ঠিকমতো কাজ না করায় এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে কিছুদিন আগে অর্থাৎ বড়দিনের দিন গত ২৫ ডিসেম্বর আজারবাইজান এয়ারলাইন্সের একটি বিমান রাশিয়ার দিকে যাওয়ার পথে ভেঙে পড়ে কাজাখস্তানের উপর। জরুরি অবতরণের চেষ্টা করেছিলেন পাইলট। কিন্তু বিমান তাঁর নিয়ন্ত্রণে থাকেনি। ওই বিমানে ৬৭ জন ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে ২৯ জনকে। যদিও তাঁদের অনেকের শরীরে ক্ষতচিহ্ন মিলেছে।