রাজনীতি আর বাণিজ্য এক নয়! শস্যের ঘাটতি পূরণে ভারত থেকে ১০০ টন চাল কিনল বাংলাদেশ

Published on:

bangladesh

প্রীতি পোদ্দার, নয়া দিল্লি: শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ ত্যাগ করার পর থেকেই গত কয়েকমাস ধরে মৌলবাদীদের তাণ্ডবে উত্তাল হয়েছে বাংলাদেশ (Bangladesh)। চরম সীমায় পৌঁছেছে হিন্দু নির্যাতন। পদ্মাপারের অশান্তি স্বাভাবিকভাবে উদ্বেগ বাড়িয়েছে দিল্লির মসনদে। প্রতিমা এবং মন্দির ভাঙা থেকে শুরু করে হিন্দুদের ঘোর বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া কিছুতেই রোধ করতে পারছে না সরকার। যার ফলে ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কে খারাপ প্রভাব পড়েছে। আর এই আবহে ভারত এবং বাংলাদেশের কূটনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যে গত রবিবার ভারত থেকে ১০০ টন চাল পৌঁছাল পদ্মাপাড়ের দেশে।

গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন Join Now

সস্তায় ভারত থেকে চাল পায় বাংলাদেশ

ভারতের ওপর উপর নির্ভরশীল হয়ে না থাকার কথা বললেও, চাল আমদানির ক্ষেত্রে বিশ্বের অন্য দেশের তুলনায় ভারত থেকে চাল কিনতে অনেকটা কম খরচ পড়ে ওপার বাংলা সরকারের। মায়ানমার থেকে টনপিছু চাল আমদানি করতে বাংলাদেশের খরচ হয় ৫১৫ ডলার। ভারত থেকে আমদানি করতে টনপিছু খরচ ৪৬৭.৭ ডলার। বিশেষ এক প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, ভিয়েতনাম থেকে চাল কিনতে বাংলাদেশের খরচ হয় ৫২১ ডলার। ফলে অন্য দেশগুলির তুলনায় ভারত থেকে চাল আমদানি বাংলাদেশের কাছে অনেকটাই লাভদায়ক।

আরও ১০০ টন চাল পাঠানো হয়েছে বাংলাদেশে

তাইতো চাল আমদানি করতে ঘুরে ফিরে সেই ভারতের কাছেই ফিরতে হয় বাংলাদেশকে। সম্প্রতি জানা গিয়েছে গত রবিবার চলতি মরসুমে দ্বিতীয় দফায় ভারত থেকে চাল আমদানি করল বাংলাদেশ। গত ২৬ নভেম্বর ৯৯.৯৩ টন চাল পাঠাবো হয়েছে বাংলাদেশে। গত রবিবার আরও ১০০.২২ টন চাল পাঠানো হয়েছে বাংলাদেশে। ইউনূস সরকারের খাদ্য উপদেষ্টা জানান, সে দেশে বর্তমানে ২২ লাখ টন চাল মজুত রয়েছে। তবে চাহিদার কথা ভেবে আরও ৩০ লাখ টন পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে Join Now

এদিকে বাংলাদেশের বিদেশ উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন এর মতে, বর্তমানের উদ্ভূত পরিস্থিতি দু’দেশের বাণিজ্যের উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলছে। এই পরিস্থিতিতে গতকাল অর্থাৎ সোমবার ভারতের বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় বসেন বাংলাদেশের বিদেশসচিব মুহাম্মদ জসীম উদ্দিন। প্রায় দু’ঘণ্টা বৈঠক হয় তাঁদের। ওই বৈঠকেও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিক্রম মিস্রী।

তাই একদিক থেকে যতই ইউনূস সরকার ভারতকে দূরে সরিয়ে রাখার চেষ্টা করুক না কেন বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে ভারতকে যে প্রয়োজন, তা অনুধাবন করতে পারছে ইউনূসের প্রশাসন। তাই আলু, পেঁয়াজ কিংবা চাল আমদানির জন্য বিকল্প দেশের খোঁজ করলেও ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ককে অক্ষত রাখতে চাইছে তারা।

গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্যJoin Group
চাকরির খবরের জন্যJoin Hood Jobs
রাশিফলের জন্যJoin Hood Rashifal
খেলার খবরের জন্যJoin Whatsapp
সঙ্গে থাকুন ➥
X
Join Group