প্রীতি পোদ্দার, ঢাকা: গত বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে কোটা সংস্কার আন্দোলনের মঞ্চ ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর ডাকে এক ভয়াবহ বিক্ষোভের সমাবেশ তৈরি হয়েছিল। যা দিনের পর দিন মারাত্মক আকার ধারণ করেছিল। পরিস্থিতি এতটাই জটিল ছিল যে সেই সময় থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গদি নড়ে উঠেছিল। শেষে বাধ্য হয়ে গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে চলে যান। তারপরেই ক্ষমতায় আসে মুহাম্মদ ইউনূস। যদিও পরিস্থিতি সেই সময়ের তুলনায় কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে সংকটের মেঘ যেন সরছেই না। আর এই আবহে গণমাধ্যম স্বাধীনতা সূচকে এগিয়ে এল বাংলাদেশ।
কী এই গণমাধ্যম স্বাধীনতা সূচক?
আসলে গণমাধ্যম স্বাধীনতা সূচক (World Press Freedom Index) হল এমন একটি সমীক্ষা, যা বিভিন্ন দেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত একটি ছক তৈরি এবং মূল্যায়ন করে থাকে। সোজা কথায় এটি মূলত একটি দেশ বা অঞ্চলের গণমাধ্যমের স্বাধীনতা কেমন, তা চিহ্নিত করার জন্য ব্যবহৃত একটি সহজ ব্যবস্থা। এই সূচকের ফলাফলের মাধ্যমেই জানা যায় বিভিন্ন দেশে সাংবাদিকদের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, আইনী এবং নিরাপত্তা পরিস্থিতি কেমন। এবারেও এই গণমাধ্যম স্বাধীনতা সংক্রান্ত সমীক্ষা করা হয়েছে। আর তাতেই উঠে এসেছে আশ্চর্যজনক ফলাফল। টানা নবমবারের মতো সূচকের শীর্ষে রয়েছে নরওয়ে। এবার দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে দখল করেছে এস্তোনিয়া ও নেদারল্যান্ডস।
ভারতের স্থান কোথায়?
গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার প্রকাশিত হয়েছে ‘গণমাধ্যম স্বাধীনতা সূচক’। সেখানে দেখা গিয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারতের অবস্থান রয়েছে ১৫১তম। অন্যদিকে পাকিস্তান এবং ভুটান রয়েছে যথাক্রমে ১৫৮তম ও ১৫২তম স্থানে। আর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল এই সমীক্ষায় ভারত এবং পাকিস্তানকে ছাপিয়ে গিয়েছে বাংলাদেশ। জানা গিয়েছে ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪৯তম, স্কোর ৩৩.৭১। গতবছর অর্থাৎ বাংলাদেশে বাংলাদেশের অবস্থান যেখানে ১৬৫তম ছিল সেখান থেকে এতটা এগিয়ে আসায় সকলেই বেশ চমকিয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ বাণিজ্যে প্রত্যাঘাত! পাকিস্তান থেকে সমস্ত পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ ঘোষণা করল ভারত
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের পর এই প্রথম গণমাধ্যম স্বাধীনতা সূচকে ১৫০-এর ভেতর অবস্থান করছে বাংলাদেশ। তবে বাংলাদেশকে টপকিয়ে এগিয়ে গিয়েছে নেপাল, শ্রীলঙ্কা এবং মালদ্বীপ। তালিকায় এই দেশগুলির স্থান যথাক্রমে ৯০তম, ১৩৯তম ও ১০৪তম। অন্যদিকে এই সূচকে যুক্তরাষ্ট্র ৫৭তম স্থানে অবস্থান করছে। অবস্থা এতটাই খারাপ যে পশ্চিম আফ্রিকার মত যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ সিয়েরা লিওনেও এই সূচকে যুক্তরাষ্ট্রকে পিছনে ফেলে দিয়েছে। আর এই অবনতির কারণ হিসেবে টার্গেট করা হয়েছে দ্বিতীয় দফায় প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্প।
রাজ্য রাজনীতি, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা সংক্রান্ত নানা ধরনের খবরের লেটেস্ট আপডেট পেতে এখনই ফলো করুন আমাদের India Hood Bangla কে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |