বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: হাসিনা জামানা শেষ ও ইউনূস শাসন শুরুর মাঝের সময়টা ছিল বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর। এই সময়ে ওপার বাংলার সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামানের (Waker-Uz-Zaman) নেতৃত্বে বাংলাদেশের শাসন ব্যবস্থা দৃঢ়তার সাথে ধরে রেখেছিল পদ্মা পাড়ের সেনারা। যদিও এই সময়কালে বাংলাদেশ সেনার বিরুদ্ধে একাধিক হত্যার অভিযোগ উঠেছিল।
তবে সেই সব পর্ব মিটিয়ে আপাতত দেশের শান্তি রক্ষার্থে নিরলস ভাবে কাজ করে চলেছে ওপার বাংলার সেনাবাহিনী। যদিও প্রায়শই ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নানান পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন ওপার বাংলার সেনারা।
শান্তিতে নোবেল জয়ীর একাধিক কুরুচিকর পদক্ষেপকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন পদ্মা পাড়ের সেনাপ্রধান। যার কারনে ইউনূসের সাথে তাঁর খুব একটা বনিবনা নেই বলেই খবর ছিল এতদিন। জানা যাচ্ছে, এবার সেই সেনাপ্রধানই নাকি হঠাৎ বড় বার্তা দিয়েছেন। ঠিক কী জানিয়েছেন জামান? রইল বিস্তারিত।
বাংলাদেশ সেনাপ্রধানের বড় বার্তা
ইতিপূর্বে বহুবার জাতির উদ্দেশ্যে বড় বার্তা রেখেছিলেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জামান। জানা যাচ্ছে, সম্প্রতি আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস উপলক্ষ্যে চিন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রের এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এবার আরও বড় বার্তা দিয়ে বসলেন ওপার বাংলার সেনাপ্রধান।
বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ওই অনুষ্ঠানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রম নিয়ে বিশেষ উপস্থাপনা ও আহত রক্ষীদের সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছিল। আর সেখানেই শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে শহীদ হওয়া 186 জন বীর সেনা জাওয়ান ও পুলিশ কর্মীদের গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে জামান বলেন, দেশবাসী তাদের আত্মত্যাগ কখনও ভুলবে না।
তাঁরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশের জন্য যে নৈতিকতা ও দক্ষতা প্রদর্শন করেছে তা বাংলাদেশের মর্যাদা অনেকটাই বাড়িয়েছে। এরপরই জামান বলে বসেন, 1988 সাল থেকে বাংলাদেশ জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছে। বর্তমান সময়ে বিশ্বের 9 দেশে শান্তিরক্ষী হিসেবে নিয়োজিত কর্মীদের মধ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর 4,880 জন, বিমানবাহিনীর 396 জন, নৌবাহিনীর 343 জন ও 199 জন পুলিশ কর্মী মিলিয়ে মোট 5,180 জন রয়েছে।
অবশ্যই পড়ুন: KKR থেকে বাদ পড়ে কামাল দেখানো হল না! শ্রেয়স বললেন ‘যুদ্ধে হারিনি’
বাংলাদেশের সাফল্যের কথা বলতে বলতেই সেনাপ্রধান জানান, গোটা বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় বর্তমানে বাংলাদেশ একটি বিশ্বস্ত ও গ্রহণযোগ্য নাম। বাংলাদেশের বীররা শুধুই শান্তি রক্ষায় অংশ নিচ্ছে না, বরং মানবিক উদ্যোগেও এগিয়ে আসছে। দেশের এমন সাফল্যে আমরা সত্যিই গর্বিত।