হুলস্থূল কাণ্ড ওপার বাংলায়! ১৫ সেনা আধিকারিক হেফাজতে নিল বাংলাদেশ আর্মি

Published:

Bangladesh Army Takes 6 accused in their custody
Follow

বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: খুন এবং গুম করার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে এখনও পর্যন্ত 15 জন সেনা কর্মকর্তাকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলেই দাবি করল বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর (Bangladesh Army) অ্যাডজুট্যান্ট মেজর জেনারেল মহম্মদ হাকিমুজ্জামান। শনিবার, ঢাকার সেনানিবাসের মেস 1 এ অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সামরিক বাহিনীর সদস্যের মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে এই তথ্য জানিয়েছিলেন তিনি।

15 জন সেনা কর্মকর্তার অপরাধের দায় নেবে বাংলাদেশ সেনা?

মহম্মদ ইউনূসের আগমনে বাংলাদেশের পরিস্থিতি বাস্তবে উন্নতির তুলনায় যে অবনতির পথে হেঁটেছে সে কথা বোধহয় বলার প্রয়োজন পড়ে না! দেশটিতে দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে খুন, রাহাজানি সহ অন্যান্য একাধিক অপহরণের মতো গুরুতর অপরাধ। গত 9 অক্টোবর থেকে নিখোঁজ দেশটির সেনাবাহিনীর জেনারেল কবীর আহাম্মদ নামক এক কর্মকর্তা। মূলত নোটিশ না দিয়ে উধাও হয়ে যাওয়ার কারণে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলেই খবর।

প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, শনিবার, ঢাকার সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল হাকিমুজ্জামান স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, ‘গত 8 অক্টোবর, আইটিসিতে মূলত তিনটি রিপোর্ট জমা পড়েছিল। যার মধ্যে একটি ছিল গুম সংক্রান্ত। ওই রিপোর্ট জমা পড়ে ডিজিএফআই এ কর্মরত বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এছাড়াও দ্বিতীয় যে রিপোর্ট জমা পড়েছিল তাতে ছিল র‍্যাবের পিএফআই সেলে গুম সংক্রান্ত বিষয় এবং তৃতীয় অর্থাৎ শেষ রিপোর্টটি ছিল গত বছরের আগস্টে রামপুরায় গুলি চালানোর ঘটনা নিয়ে।’

হাকিমুজ্জামানের দাবি, ‘এই তিন রিপোর্ট জমা করার পরেই তা গ্রহণ করে কর্মকর্তাদের গ্রেফতারির পরোয়ানা জারি করে ট্রাইব্যুনাল। পরবর্তীতে এই খবর গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল দুপুরের দিকে। আসলে গ্রেফতারির পরোয়ানা জারি করে সেটি কার্যকর করার জন্য আইজিপি সহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে সেই চিঠি পাঠানো হয়েছে। ট্রাইব্যুনালের আদেশ অনুযায়ী, আগামী 22 অক্টোবর অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তাদের আদালতে হাজির হতে হবে। যদিও শনিবার পর্যন্ত কোনও গ্রেফতারির পরোয়ানা কিংবা আদালতের নির্দেশের কোনও কপি পৌঁছয়নি সেনাবাহিনীর হাতে।’

প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা নাকি জানিয়েছেন, ‘সঠিক সময়ে সকলকে সেনা সদরে উপস্থিত হওয়ার জন্য রিপোর্ট করা হলেও একজন সেনা কর্মকর্তা সেখানে পৌঁছননি। পরবর্তীতে কবীর আহাম্মদ নামক ওই সেনা কর্মকর্তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, 9 অক্টোবর সকাল নাগাদ আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলতে যাচ্ছেন বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান, এরপর আর তিনি ঘরে ফেরেননি। যদিও পরবর্তীতে হাসপাতাল সহ স্থানীয় প্রিয় স্বজনদের বাড়িতে খোঁজখবর নেওয়া হলেও ওই সেনা কর্মকর্তার কোনও হদিস পাওয়া যায়নি। তাই নোটিশ না দিয়ে অনুপস্থিত থাকার কারণে ওই সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’

অবশ্যই পড়ুন: ‘রাতে মেয়েদের বেরোতে দেওয়া উচিৎ না!’ দুর্গাপুর গণধর্ষণ কাণ্ডে মুখ খুললেন মমতা

ওই সেনা কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘ডিজিএফআই, এনএসআই ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে বলা হয়েছে তারা যেন সব ক্ষেত্রেই নজরদারি বাড়ায়। স্থল, জল এবং বিমানবন্দর দিয়ে যেন কোনও ব্যক্তি দেশের বাইরে যেতে না পারে তা নিশ্চিত করতে হবে। সেই সাথে আহাম্মাদ নামক ওই সেনা কর্মকর্তার পরিচিতদের বাড়িতে লোক পাঠিয়েও খোঁজ খবর চলছে। ওই ব্যক্তি দেশের বাইরে চলে যেতে পারেন কথা ভেবেই আমরা নজরদারি বাড়িয়েছি।’

বাংলাদেশের সেনা সদরে যে 15 জন কর্মকর্তা অপরাধের জন্য অভিযুক্ত তাদের ইতিমধ্যেই সেনা হেফাজতে রাখা হয়েছে। সেই সাথে তারা যাতে পরিবারের সাথে কোনওভাবেই যোগাযোগ করতে না পারেন সে বিষয়টাও নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ সেনা। এ প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীরা কর্মকর্তাকে প্রশ্ন করা হয়, এই 15 জন সেনা কর্মকর্তার অপরাধের দায় সেনাবাহিনী নেবে কিনা? উত্তরে তিনি বলেন, ‘এই দায়টা কি সত্যিই নেওয়া উচিত? বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের প্রতিটি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। সে কারণেই গত 8 অক্টোবর অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের দ্রুত হেফাজতে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। আমরা অন্যায় বরদাস্ত করিনা। ন্যায়বিচারের প্রশ্নে সেনাবাহিনী আপসহীন।’

গুরুত্বপূর্ণ
Join
চাকরির খবর
Join
রাশিফল
Join
খেলার খবর
Join