পার্থ সারথি মান্না, কলকাতাঃ ছাত্র আন্দোলনের জেরে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর থেকেই একপ্রকার অশান্ত বাংলাদেশে। একদিকে যেমন হিন্দুদের সাথে সংর্ষের খবর আসছে তেমনি মূল্যবৃদ্ধিতে জেরবার দেশের আমজনতা। বিদ্যুৎ থেকে শুরু করে খাদ্যশস্য, ডিম এমন একাধিক পণ্য থেকে শুরু করে বিদ্যুতের জন্য ভারতের উপর নির্ভর ওপার বাংলাদেশ। কিন্তু এবার জানা যাচ্ছে চাল কেনার টাকাই নেই বাংলাদেশের কাছে।
চাল কেনার টাকা নেই বাংলাদেশের
দেশের মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্যের যোগান দিতে বিপুল পরিমাণে খাদ্যশস্য আমদানি করতে হয় বাংলাদেশ সরকারকে। কিন্তু আমদানির জন্য যে পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন সেটাই নাকি নেই! জানা যাচ্ছে, মোট ১৫ লক্ষ টন চাল কেনার জন্য আবেদন জানিয়েছিল বাংলাদেশ। এর মধ্যে ৪ লক্ষ টন চাল রপ্তানি করা হয়েছে ঠিকই। তবে বাকি চালের রফতানি আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে।
বন্ধ চালের রফতানি
মূলত টাকা না দেওয়ারই কারণেই বাংলাদেশে চাল রফতানি বন্ধ রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। আতপ ও গোবিন্ধভোগ চালে ভারতের জিআই থাকার কারণে সেগুলির রফতানি আগেই বন্ধ করা হয়েছিল। তবে এবার সেদ্ধ চালও রফতানি হচ্ছে না। পশ্চিমবঙ্গ রাইস মিল মালিক সংগঠনের নেতা আব্দুল মালেকের মতে, যে সেদ্ধ চাল পাঠানোর আর্জি জানানো হয়েছিল সেটা পাঠানো হয়েছে। তবে বাকি চাল কেনার মত টাকা নেই ওদের।
প্রসঙ্গত, খাদ্যশস্যের ঘাটতি পূরণের জন্য কোন দেশ থেকে চাল, ডাল সবজি আমদানি করা হবে সেটার তালিকা তৈরী করা হয়েছিল। এরপর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে চাল আমদানির জন্য খোঁজ চলে। সেই সময় তুরস্ক ১৪৫ টাকা, থাইল্যান্ড ৭৮ টাকা কেজিতে চাল দিতে পারবে জানায়। এদিকে ভারত থেকে চাল আমদানিতে মাত্র মাত্র ৪৫ কেজি লাগে। তাই বাকি দেশের দাম দেখার পর ভারত থেকেই ফর ১০০ টন চাল যায়। তবে আগামীতে টাকা না দিলে কিভাবে চালের ঘাটতি পূরণ হবে সেটাই এখন দেখার বিষয়।